ইউক্রেনের কিয়েভের বুচা শহরে গণহত্যা ঘিরে রাশিয়ার দিকে আঙুল তুলল পেন্টাগন। এর আগে এই ঘটনায় ক্রেমলিনের দিকে আঙুল তুলেছিল ইউক্রেন✃ও। যদিও রাশিয়া এই গণহত্যাকে ‘মঞ্চস্থ নাটক’ বলে আখ্যা দিয়েছিল। তবে বুচা থেকে উঠে আসা যেসব ছবি গোটা বিশ্ব দেখেছে তাতে শিহরিত সবাই। দেখে মনে হচ্ছে একবিংশ শতাব্দী নয়, বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে ফিরে গিয়েছে ইউক্রেন। এই আবহে ইউক্রেনে বুচা গণহত্যা নিয়ে ফের ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে সুর চড়াল আমেরিকা। পেন্টাগনের সাফ বক্তব্য, ‘নির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও এটা স্পষ্ট যে বুচা গণহত্যার নেপথ্যে রাশিয়ারই হাত রয়েছে।’
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কার্বি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমি মনে করি এটা প্রায় নিশ্চিত যে বুচায় সংগঠিত এই অত্যাচারের পিছনে রুশ বাহিনী আছে। আ শুধু আমরা নয়, গোটা বিশ্ব এই নিয়ে প্রায় নিশ্চিত।’ এরপর কার্বি বলেন, ‘ঠিক কোন ইউনিট এখানে মোতায়েন ছিল বা এখানে কোনও ভাড়াটে দল 🧜বা চেচেন জঙ্গি মোতায়েন ছিল কি না, তা এখনই আমি বলতে পারছি না। তবে আমরা নিশ্চিত যে রাশিয়া এই অত্যাচারের নেপথ্যে।’
উল্লেখ্য, শহরে প্রায় ৪১০ জন সাধারণ নাগরিকের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে একটি গণকবরে। মার্কিন সংস্থা ম্যাক্সার স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে যেখানে ৪৫ ফুট লম্বা গণকবর দেখা যাচ্ছে। একইসঙ্গে একটি ছবিও সামনে এসেছে যাতে সেনাবাহিনীর বর্বরতা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি ব্যক্তির হাত পিছন থেকে বাঁধা। তার মাথায় পয়েন্ট ব্ল্য🐓াঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করছে একজন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেন, ‘ইউক্রেনের বুচায় নিহত নাগরিকদের ছবি দেখে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। এই ঘটনার একটি স্বাধীন তদন্ত কার্যকর করা জরুরি। এর জবাবদিহি করতে হবে দোষীদের।’ তবে রাশিয়ার বক্তব্য, পশ্চিমা দেশগুলিকে উসকানি দিতে এই ঘটনা সাজানো হয়েছে।