বর্তমানে রাজ্যে ধীরে ধীরে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হলেও চালু করা হয়নি বাস। ট্রেন বা অন্যান্য গণপরিবহণের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। তবে জরুরি ভিত্তিতে ট্যাক্সি চলাচল করছে কলকাতায়। করোনা পরিস্থিতিতে বাসের ভিড়ে যাতায়ত করার থেকে এসি ট্যাক্সিতে൲ ভ্রমণ করা কতটা নিরাপদ? সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি সমীক্ষা করে জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়, ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য এবং ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তর।
সেই সমীক্ষায় দেখা দিয়েছে যদি কেউ একজন করোনা আক্রান্তের সঙ্গে এসি ট্যাক্সিতে ভ্রমণ করেন, তাহলে সেই ব্যক্তির সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা ৩০০ গুণ বেশি। এর থেকে অটোতে ভ্রমণ করা অনেক বেশি নিরাপদ। অটোতে যদি সহযাত্রী করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকেন, সেই ক্ষেত্রেও এসি ট্যাক্♏সির তুলনায় অটোতে সুস্থ ব্যক্তির সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা ৩০০ গুণ কম।
এদিকে সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, যদি ট্যাক্সিতে এসি বন্ধ করে জানলার কাচ নামিয়ে ভ্রমণ করা হয়, তাহলে সহযাত্রী করোনা আক্রান্ত হলেও এসি ট্যাক্সির তুলনায় সুস্থ ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ২৫꧑০ শতাংশ কম। তবে এই ক্ষেত্রেও অটোর তুলনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা ৮৬ গুণ বেশি।
এদিকে একটি বাসে যদি ৪০ জন বসে থাকেন এবং বাসটি দাঁড়িয়ে আছে। যাত্রীদের মধ্যে একজন করোনা রোগী, তাহলে অটোর তুলনায় সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা ৭২ গুণ বেশি। তবে চলন্ত বাসে এই সংক্রণের সম্ভাবনা কতটা বেশি, তা এখনও খতিয়ে দেখেননি গবেষকরা। পাশাপাশি বিমান এবং রেলে সংক্রমণের সম্ভাবনা নি🔯য়েও গবেষণা চালু রেখেছেন তাঁরা। এদিকে ট্যাক্সির গতির উপরও সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা নির্ভর করে।
গবেষকরা এই পুরো মডেলটি এই সম্ভাবনা নিয়ে তৈরি করেছেন, যাতে অন্তত একজন যাত্রী করোনা সংক্রমিত। এবং সব যাত্রী মাস্ক পরে আছেন। এবং তাঁর থেকে কীভাবে বিভিন্ন গণপরিবহণে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। গবেষকদের দাবি, অটোতে সাধারণত বেশি গায়ে গায়ে লেগে বসলেও হাওয়া চলাচলের জন্য এখানে সংক্রমণ♕ের সম্ভাবনা বাকি অন্য গণপরিবহণের তুলনায় অনেক কম। এদিকে বাসের ক্ষেত্রে সংক্রমিতের সম্ভাবনা ভেন্টিলেশনের উপর নির্ভর করে। যদি বাসে বেশি লোক উঠে হাওয়া চলাচল বন্ধ করে দেয়, তাহলে বাসে সংক্রমণের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। তবে গবেষকদের দাবি, অটো যে পুরোপুরি নিরাপদ, তা তাঁরা বলছেন না। তবে ভারতীয় গণপরিবহণের মধ্যে আপাত দৃষ্টিতে এটি সবথেকে নিরাপদ মাধ্যম।