তৃতীয় এনডিএ সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট আজ, মঙ্গলবার পেশ ক🧸রলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। লোকসভা নির্বাচনের কারণে চলতি বছরের গোড়ায় নিয়মমাফিক পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা সম্ভব হয়নি। আজ সংসদে ২০২৪–২৫ সালের বাজেট পেশ করেছেন তিনি। লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে বাজেট পেশ করেন নির্মলা। স্ꦦপিকারের চেয়ারে আছেন ওম বিড়লা। সংসদে দেড় ঘণ্টা ধরে বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তখনই ক্যানসারের তিনটি জীবনদায়ী ওষুধের শুল্কেও ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
এবার চার শতাংশ শুল্ক কমায় দাম কমতে চলেছে তামার তৈরি যে কোনও দ্রব্যের। আয়করের নতুন কাঠামোয় স্ট্𒀰যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫🌱০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা হল। কেন্দ্রীয় সরকার আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির জেরে দাম বাড়ল পিভিসি ও প্লাস্টিকজাত দ্রব্যের। তবে আমদানি শুল্ক কমিয়ে নেওয়ায় দাম কমছে সোনা, রুপো, মোবাইল ফোন, লিথিয়াম ব্যাটারি, চামড়াজাত দ্রব্যের। দাম কমছে সৌর বিদ্যুতের ও ক্যানসারের তিনটি জীবনদায়ী ওষুধের শুল্কেও ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
আরও পড়ুন: ‘পাঁচ কোটি আদিবাসী মানুষের উন্নতি ঘটবে’, জনজাতীয় উন্ন🐬ত গ্রাম অভিযান প্রকল্প ঘোষণা নির্মলার
চলতি অর্থবᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚর্ষে সম্ভাব্য রাজকোষ ঘাটতি হতে পারে ৪.৯ শতাংশ। রাজকোষ ঘাটতি ক্রমশ কমানোর কথা জানান নির্মলা সীতারামন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, মোবাইল, চার্জার, ক্যানসারের তিনটি ওষুধ, এক্স–রে মেশিন, সোনা–রুপো–প্ল্যাটিনাম এবং চর্মজাত দ্রব্য, ২৫টি খনিজ পদার্থ, বৈদ্যুতিক সামগ্র꧑ীর দাম কমছে। আর দাম বাড়ছে—প্লাস্টিক, পিভিসি ফ্লেক্স ও সোলার প্যানেলের। উপকৃত হবেন ক্যানসার আক্রান্ত রোগীরা। তবে আগেরবার বাজেটে জরায়ু মুখের ক্যানসারের জন্য দেশে ভ্যাকসিন চালু হবে বলা হয়েছিল। এবার সেই বিষয়ে কোনও বক্তব্য রাখেননি কেন্দ্রীয় বাজেটে।
এছাড়া দেশের চার শ্রেণীকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গরিব, মহিলা, কৃষক এবং যুবক। দেশꦰের ক্ষুদ্রশিল্প এবং মধ্যবিত্তের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব বাজেটে ঘোষণা করা হয়। কর্মসংস্থান ও দক্ষতায় বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। বিকশিত ভারতের জন্য় রোডম্যাপ ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। দেশের অর্থনীতিতে বিকাশের হার ঊর্ধ্বমুখী করা হবে। আর কৃষিক্ষেত্রে সংস্কার ও গবেষণায় বিশেষ জোর দেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রীর কথায়, ‘এই প্রস্তাবে সরকার ৯টি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছে। সেগুলি হল—কৃষি উৎপাদন ও কৃষিতে স্থিতিশীলতা, কর্মসংস্থান ও দক্ষতার উন্নয়ন বৃদ্ধি, মানবসম্পদ বৃদ্ধি ও সামাজিক ন্যায়বিচার, কলকারখানা ও পরিষেবা বৃদ্ধি, চাকরির সুযোগ তৈরি, নগরোন্নয়ন, বিদ্যুৎ, পরিকাঠামো, গবেষণা ও আগামী প্রজন্মের জন্য সংস্কার।’