করোনা আবহে অক্সিজেন নিয়ে জোর দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে রাজ্যগুলির মাঝে। পরিস্থিতি এতটাই গম্ভীর যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লার হস্তক্ষেপে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে অক্সিজেন পরিবহন সম্ভব হয়েছ🎃ে। দেশ জুড়ে অক্সিজেনের ঘাটতির মাঝেই বিভিন্ন সংস্থার তরফে অভিযোগ আসছে যে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি অন্য রাজ্যে অক্সিজেন নিয়ে যেতে দিচ্ছে না। এই আবহে দিল্লি এবং হরিয়ানার মধ্যে দ্বন্দ্ব বেঁধেছিল আগেই। তবে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ড থেকে দিল্লিতে অক্সিজেন নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে।
এই বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে অজয় ভাল্লা বলেন, 'অক্সিজেনের ঘাটতি সম্পর্কিত কিছু সমস্যা রয়েছে তবে আমরা তা সমাধান করার চেষ্টা করছি। কয়েকꦺটি প্ল্যান্ট সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, আমরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেই রাজ্যকে যতটা অক্সিজেন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা যেতে দিতে হবে। অক্সিজেন উত্পাদক সংস্থাগুলি যেই রাজ্যে অবস্থিত, শুধু সেই রাজ্যেই অক্সিজেন সরবরাহ করা সংক্রান্ত কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা যাবে না।'
তবে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানা থেকে দিল্লিতে অক্সিজেন নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্র♚ে বহু বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লার হস্তক্ষেপে সেই জটিলতা মিটেছে। উল্লেখ্য, অক্সিজেনের ঘাটতি ইস্যুতে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি। এই আবহে কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই অক্সিꦓজেনের জোগান সুনিশ্চিত করার জন্য সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚালে ভারতে করোনার প্র🍎থম প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে অক্সিজেনের উৎপাদন অনেক বেড়েছে দেশে। কিন্তু, সেই অক্সিজেনের অধিকাংশ বিদেশে রফতানি করা হয়েছে। যা নিয়ে গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশ করা তথ্যে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের তুলনায় ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ৭০০ শতাংশ অক্সিজেন বেশি রফতানি হয়েছে।