বিশ্ব বাজারে নানཧান ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যেই রাশিয়ার থেকে তেল কিনেছে ভারত। যখন বিশ্ব আঙিনায় তেলের দাম বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তখনই রাশিয়ার থেকে তেল কেনে ভারত। সিএ♎নএনওর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সেই সময়ে রাশিয়ার থেকে তেল কেনা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন হরদীপ পুরী।
এই সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ব্যাখ্যা করেন যে, সেই সময়ে যদি ভারত সরকার রাশিয়ার থেকে তেল না কিনত, তাহলে তেলের দাম চড়চড়িয়ে বেড়ে যেত। তা ২০০ মার্কিন ডলারের অঙ্ক ছুঁতে পারত। হরদীপ পুরী বলছেন, আগামী দিনেও শক্তি সম্পদ সরবরাহের ক্ষেত্রে তেল একটি বড় ভূমিকা পালন করবে। সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,'আগেও আমি বলেছিলাম আমি আশা করি তেলের দাম কমবে। আজ আমি আরও আত্মবিশ্বাসী যে সেটি হবে।' আশার বার্তা নিয়ে হরদীপ সিং পুরী বলেন,'২০🃏২৬ সালের মধ্যে, যখন বাজারে আরও শক্তি (সম্পদ) পাওয়া যাবে, পরিস্থিতির একজন ছাত্র হিসাবে, আমি মনে করি যে দামের স্থিতিশীল থাকা এবং কমার সম্ভাবনা বেশি।' তাঁকে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। উল্লেখ্য, সদ্য দেখা গিয়েছে, রাশিয়ার থেকে ভারত ১০ শতাংশ তেল আꦏমদানি কমিয়ে দিয়েছে। পুরী বলছেন, বাজারে প্রতিযোগিতামূলক দামের কারণে এই পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বলেন,' একই প্রতিযোগিতামূলক হারে সরবরাহ করতে ইচ্ছুক অন্যান্যরাও বাজারে ছিল.. কারণ ওপেকের অবস্থান হল, তারা দাম নিয়ে মাথা ঘামায় না। সুস্থ প্রতিযোগিতা চলেছে। আপনি যদি এটি একজনের কাছ থেকে না পান তবে আপনি এটি অন্য কারো কাছ থেকে পাবেন।'
এরপরের প্রশ্ন যায়, রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি কি কোনও কৌশলী চাল ছিল দিল্লির? পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন,' তেল নিয়ে সিদ্ধান্ত বাজারের নিরিখে হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমরা রাশিয়ার ১৩ মিলিয়ন ব্যারেল তেল বাজারে পাই। সেই তেল যদি বেরিয়ে যে💛ত বাজার থেকে…, তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ২০০ পৌঁছে যেত। ফলে আমি মনে করি যে, আমরা বিশ্বকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছি।'এক্ষেত্রে তিনি উপসাগরীয় এ♌লাকার বিক্রেতাদের কথাও তোলেন।
বিষয়টি নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলেও একটি পোস্ট করেন পুরী। সেখানে তিনি বলেন,'রাশিয়ার তেল কিনে ভারত সারা বিশ্বের উপকার করেছে কারণ আমরা যদি তা না করতাম, তাহলে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম আকাশ ছুঁয়𝕴ে যেত।'