সোমবার থেকে সারাদেশে কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী𒅌 আইন (সিএএ)। এই আইন কার্যকর হতেই যেমন একদিকে বহু মানুষ সমর্থন জানিয়েছেন, অ🏅ন্যদিকে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছেন অনেকেই। আর এবার সিএএ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ। এই আইনটিকে ‘মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক প্রকৃতির’ বলে উল্লেখ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ।
আরও পড়ুনঃ CAA-র প্রতিবাদে অসমজুড়ে হরতালের ডাক বিরোধಞীদের, পালটা হুঁশিয়ারি মুখ𓂃্যমন্ত্রীর
এবিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিসের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘সিএএ মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক প্রকৃতির এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন।’ তিনি আরও জানান, এই আইনের প্রয়োগের নিয়ম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এই আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন বিদেশ দফতরের একজন মুখ🎃পাত্র জানিয়েছেন, ‘১১ মার্চ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এই আইন কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।’ তিনি জানান, ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং সকল সম্প্রদায়ের জন্য আইনের অধীনে সমান আচরণ মৌলিক গণতান্ত্রিক নীত🏅ি। সেই নীতি ঠিকমতো কার্যকর হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এর কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সংগঠন এবং মানবাধিকার কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার একটি দেশ হ📖ল ভারত। এই আইনের ফলে মুসলমানদের সঙ্গে বৈষম্য করা হতে পারে। কেউ কেউ আবার আশঙ্কা করছেন, সরকার কিছু সীমান্তবর্তী রাজ্যে কাগজপত্র বহু মুসলমানকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করতে পারে।
যদিও ভারত সরকার এই আইনটিকে মুসলিম বিরোধী বলে মানতে অস্বীকার করেছে। ൩কেন্দ্রের মতে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্🍌থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা সিএএ-তে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এই আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা বলা হয়নি। অন্যদিকে, বিরোধীরা এই আইনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বিভাজনের রাজনীতি বলে উল্লেখ করেছে।