লখনউ🃏 ক্যান্টনমেন্ট আসন এমনই একটি আসন, যেখানে সপার যাদব পরিবারের প্রতিনিধিকে হারিয়েছিলেন বিজেপির রীতা বহুগুনা যোশী। ২০১৭ সালে রীতা হারিয়েছিলেন অপর্ণাকে। ফলে এই আসন গঙ্গাপাড়ের রাজনীতিতে আলাদা তাৎপর্। রাখে। একদিকে ভারতীয় রাজনীতির পোড় খাওয়া নেত্রী রীতা বহুগুণা যোশীর ছেলে মায়াঙ্ক, অন্যদিকে গোবলয় রাজনীতির অন্যতম নাম যাদব পরিবারের মুলয়াম সিংয়ের পুত্রবধূ অপর্ণা যাদব। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে হাইভোল্টেজ লখনউ ক্যান্টনমেন্ট আসনের বিজেপি প্রার্থীর সম্ভাব্য তালিকায় এই দু'জনের নাম বারবার উঠে এসেছে। তবে, পরিবারতন্ত্রকে ছাপিয়ে পার্টিলাইন জোরালো করার বার্তা দেওয়া বিজেপি এই আসন ঘিরে ফের নিজের নীতিতে কায়েম রইল। লখনউ ক্যান্টনমেন্ট আসনের জন্য বেছ🔯ে নেওয়া হল রাজ্যের মন্ত্রী ব্রজেশ পাঠককে। বিজেপির তরফে তাঁকেই দেওয়া হয়েছে এই আসনের প্রার্থীপদ।
বহু দিন ধরেই লখনউ ক্যান্টনমেন্ট আসনটি নিয়ে নানান জল্পনা উঠে আসছিল। বিজেপি নেত্রী রীতা বহুগুণা যোশীর ছেলে মায়াঙ্ককে অনেকেই এই আসনের জন্য ভেবেছিলেন। তবে জল্পনায় মায়াঙ্কের নাম থাকলেও বাস্তবে তা ൩হয়নি। এদিকে তাবড় নেত্রীর ছেলে মায়াঙ্ক এই আসনটি না পাওয়ায় ঝুঁকেছেন সমাজবাদী পার্টি শিবিরের দিকে। অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিং যাদবের পরিবার থেকে বিজেপিতে এসেছেন তাঁর ছোট ছেলে প্রতীকের স্ত্রী অপর্ণা। সে অর্থে অপর্ণাও ছিলেন এই আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর জল্পনায়। উল্লেখ্য়, এই লখনউ আসনেই ২০১৭ সালের ভোটে অপর্ণা যাদবকে হারিয়ে দিয়েছিলেন রীতা বহুগুণা যোশী। সেই জায়গা থেকেই এই আসনে মনে করা হচ্ছিল বিজেপির তুরুপের তাস হতে পারেন রীতা-পুত্র মায়াঙ্ক অথবা অপর্ণা। সেবার ৩৩ হাজার ভোটে অপর্ণাকে হারান রীতা। সেই জায়গা থেকে লখনউ ক্যান্টনমেন্ট আসন বিজেপির কাছে কার্যত ছিল সেফ জোন।
উল্লেখ্য, শুধু লখনউ ক্যান্টনমেন্ট আসনই নয়, উত্তরপ্রদেশের সরোজিনী নগরের আসনটিতেও বিজেপি পরিবারতন্ত্রকে ব্যাকফুটে রেখে এগিয়েছে। সেই আসনেও নাম উঠছিল রাজ্যের মন্ত্রী স্বা꧙তী সিং ও তাঁর স্বামী দিব্যাঙ্কর সিংয়ের। তবে শেষে এই আসনে প্রাক্তন ইডি অফিসার রাজেশ্বর সিংকে টিকিট দেয় বিজেপি। তবে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে আলাদা করে নজর কাড়ছে লখনউ। সেখানে ২০১৭ সালের ভোটে ৯ আসনের মধ্যে ৮ টিতে জয় ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। এরপর ২০২২ এর ভ🀅োট বিজেপিকে এই আসনগুলিতে কী তুলে দেয় , সেদিকে তাকিয়ে সকলে।