ইভিএম বিতর্কের মধ্যেই তিন আধিকারিককে ভোটের কাজ থেকে সরিয়ে দ﷽েওয়া হল। তারইমধ্যে মীরাট এবং বারাণসীর গণনায় নজরদারির জন্য বিশেষ আধিকারিকদের দায়িত্ব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে পাঠানো হয়েছে মীরাটে। বারাণসীতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিহারের ম🧔ুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে।
বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের গণনা হবে। সেই গণনার কয়েক ঘণ্টা আগেই বারাণসীর ইভিএমের নোডাল অফিসারকে ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বারাণসীর জেলাশাসক🔯 কৌশল রাজ শর্মা জানিয়েছেন, ইভিএম নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গাফিলতির জন্য অতিরিক্ত জেলাশাসক নলিনীকান্ত সিংকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গণনাকেন্দ্রেও যেতে পারবেন না তিনি। তাঁর পরিবর্তে অতিরিক্ত জেলাশাসক (অর্থ ও রাজস্ব) সঞ্জয় কুমারকে নোডাল অফিসার করা হয়েছে।
একইসঙ্গে সোনভদ্র জেলার রিটার্নিং অফিসার রমেশ কুমার এবং বরেলি জেলার অতিরিক্ত নির্বাচনী আধিকারিক ভি কে সিংকে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। রমেশের গাড🦋়ির ভিতরের একটি বাক্স থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়েছিল। অন্যদিকে, বাহেরি এলাকার একটি পুরসভার নোংরা ফেলার জায়গা থেকে ব্যালট বক্স এবং নির্বাচনের অন্যান্য জিনিস পাওয়া যাওয়ায় সিংকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের ক🧸োনও কাজে থাকতে পারবেন না।
উত্তরপ্রদেশে সপ্তম দফার ভোটের পর সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। দাবি করেন, ‘বারাণসীতে ইভিএম সরানোর সময় স্থানীয় প্রার্থীকে খবরই দেওয়া হয়নি।' তিনি ইভিএম সরানোর বিষয়ে বারাণসীর জেলাশাসকের দিকে সরাসরি আঙুল তুলে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন। গাফিলতির কথা স্বীকার করে বারাণসীর কমিশনার দীপক আগরওয়াল বলেন, ‘আপনারা যদি ইভিএমের প্রোটোকল নিয়ে কথা বলেন, তাহলে আমি বলব, হ্যাঁ প্রোটোকলে কিছু ফাঁক ছিল। আমি স্বীকার করছি সেটা। তবꦬে এটা আমি গ্যারান্টি দিতে পারি যে, ভোটের মেশিন কিছুতেই নিয়ে চলে যাওয়া সম্ভব নয়। ’ একইসঙ্গে তিনি জানান, সন্দেহ থাকলে রাজনৈতিক দলের নেতারা বাইরে বসে স্ট্রং রুমের দিকে কড়া নজর রাখতেই পারেন।