জ্ঞানবাপী মামলায় মসজিদ কমিটির আপত্তি খারিজ করে দিল বারাণসীর আদালত। জ্ঞানবাপী মসꩵজিদের চত্বরে মুসলিমদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা ও 'শিবলিঙ্গের মতো কাঠামো' পুজোর আর্জি জানিয়ে যে মামলা (আদি বিশ্বেশ্বর বিরাজমান মামলা) দায়ের হয়েছে, তা শুনবেন জানিয়েছেন বিচারক। আগামী ২ ডিসেম্বর সেই মামলার শুনানি হবে।
গত ২৪ মে বারাণসী জেলা আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন বিশ্ব বৈদিক সনাতন সংঘের সাধারণ সম্পাদক কিরণ সিং। জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি সনাতন সংঘের হাতে জ্ঞানবাপী চত্বরের দায়িত্ব তুলে দেওয়া এবং ‘🅷শিবলিঙ্গ’ পুজোর আর্জি জানানো হয়। পরদিনই ফাস্টট্র্যাক কোর্টে সেই মামলা স্থানান্তরের নির্দেশ দেন জেলা আদালতের বিচারক একে বিশ্বেষ।
কিরণের আর্জির বিরোধিতা করে জ্ঞানবাপী রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ ♉কমিটি। ১৯৯১ সালের ধর্ম পালনের (স্পেশাল প্রভিশন) আইন উদ্ধৃত করে মসজিদ কমিটির তরফে কিরণের আর্জির বিরোধিতা করা হয়। যে আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট কোনও ধর্ম পালনের জায়গার চরিত্র যেমন ছিল, তা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। অর্থাৎ যা মন্দির ছিল, তা মন্দির থাকতে হবে। যা মসজিদ ছিল, তা থাকতে 𓃲হবে মসজিদ।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের আইনজীবী জানিয়েছ🐭েন, বিশ্ব বৈদিক সনাতন সংঘের সাধারণ সম্পাদক যে পিটিশন দাখিল করেছিলেন, সেটির গ্রহণযোগ্যতা আছে। যে মামলায় বারাণসীর জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, জ্ঞানবাপী রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা অঞ্জুমান ইন্তেজা🥀মিয়া মসজিদ কমিটি এবং বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টকে যুক্ত করেছিল। তাই ২ ডিসেম্বর শুনানি ধার্য করেছেন বারাণসীর ফাস্টট্র্যাক কোর্টের বিচারক মহেন্দ্র কুমার পান্ডে।
আরও পড়ুন: Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মামলায় 'শিবলিঙ্গ' -এর কার্বন ডেটিংয়ের আর্জি খারিজꦕ বারাণসী জেলা আদালতে
সেই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ব বৈদিক সনাতন সংঘের সাধারণ সম্পাদক কিরণ। তিনি বলেন, 'আমি এই রায়ের স💃ম্মান করি এবং প্রশংসা করি। আমাদের জয়ের ক্ষেত্রে একটা প্রথম পদক্ষেপ। এটা সকল সনাতনীর ♎জয়। সত্যিই আমাদের জন্য বিশাল বড় দিন। আমি খুশি যে এই পিটিশনের গ্রহণযোগ্যতা খুঁজে পেয়েছে আদালত। আমি নিশ্চিত যে আমাদের পক্ষেই যাবে চূড়ান্ত রায়।'
যদিও অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির আইনজীবীরা জান൲িয়েছেন, বারাণসীর ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জেলা আদালতে আবেদন করা হবে। রেইস আহমেদ বলেছেন, '(বারাণসীর ফা💫স্ট-ট্র্যাক কোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে) জেলা আদালতে আমরা একটি পুনর্বিবেচনার আর্জি দায়ের করব।'