গগনযান মিশনের প্রস্তুতিতে আজ এক বড় ধাপ নিতে চলেছে ইসরো। ২০২৫ সালের গগনযান মিশনের মাধ্যমে প্রথমবার নিজেদের মহাকাশযানে চাপিয়ে নভোশ্চরদের মহাকাশে পাঠাতে চায় ইসরো। সেই অভিযান বাস্তবায়িত করতে আজ প্রথম টেস্ট ভেহিকেলের উৎক্ষেপণ করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই এর কাউন্টডাউনও শুরু হয়ে যায়। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই এই উৎক্ষেপণ হবে। এই 'টেস্ট ভেহি꧃কেল অ্যাবর্ট মিশন-১' দেখুন এখানে…
জানা গিয়েছে, ভূপৃষ্ঠের ১৭ কিলোমিটার মতো উপরে উঠবে 'টেস্ট ভেহিকেল অ্যাবর্ট মিশন-১'। আজ যে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হবে, তাতে থাকবে 'ক্রু মডিউল' এবং 'ক্রু এসকেপ মডিউল'। ২০♏২৫ সালে যখন গগনযান মিশন হবে, তখন নভোশ্চরদের পৃথিবীতে ফিরꦜিয়ে আনার ক্ষেত্রে 'ক্রু মডিউল' এবং 'ক্রু এসকেপ মডিউল' কতটা সুরক্ষিত থাকবে, তা যাচাই করে দেখতেই আজকের এই পরীক্ষা চালাচ্ছে ইসরো। এই আবহে ভূপৃষ্ঠের ১৭ কিলোমিটার ওপরে উঠে 'ক্রু মডিউল' এবং 'ক্রু এসকেপ মডিউল' আলাদা হয়ে যাবে। খুল যাবে বহু প্যারাশ্যুট। তারপর তা ফের পৃথিবীর দিকে নেমে আসবে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে অবতরণ করবে সেই মডিউল। সেটি উদ্ধার করে নিয়ে আসবে ভারতীয় নৌবাহিনী। আজ সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটে গগনযান মিশনের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হবে।
উল্লেখ্য, গগনযান মিশনে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চায় ইসরো। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিমি উচ্চতায় একটি মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে ইসরো। সেই যানে থাকবেন তিন মহাকাশচা♊রী। তিনদিন পর সেটি ভারত মহাসাগরে ফিরে আসবে। এর আগে গগযান অভিযান নিয়ে ইসরো প্রধান বলেছিলেন, 'গগনযান মিশনের মূল লক্ষ্য হল মহাকাশে ক্রুদের নিরাপদে নিয়ে যাওয়া। এর জন্য একটি নির্দিষ্ট লঞ্চ ভেহিকল তৈরি করা। মহাকাশে ক্রুদের জন্য পৃথিবীর মতো পরিবেশ তৈরি করা। জরুরি অবস্থায় যাতে মহাকাশচারীরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে পৃথিবীতে ফিরতে পারেন, তার ব্যবস্ করা এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া। এই সংক্রান্ত আরও প্ꩵরযুক্তিগত উন্নয়নের দিকে আমাদের নজর রয়েছে।'
এদিকে ইসরোর গগনযান অভিযানের জন্য ইতিমধ্যেই বেছে নেওয়া হয়েছে চার মহাকাশচারীকে। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় বায়ুসেনার অধীনে থাকা ইনস্টি🦩টিউট অফ অ্যারোস্পেস মেডিসিন এই হাকাশচারীদের বেছে নিয়েছে। তবে সম্প্রতি বায়ুসেনার ৯১তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে যে ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়, তাতে গগনযানের মহাকাশচারীদের 'ঝলক' মিলেছে। জানা গিয়েছে, ভারতীয় বায়ুসেনার ৬০ জন টেস্ট পাইলটের মধ্যে থেকে গগনযান অভিযানের জন্য মহা𒈔কাশচারীদের বেছে নেওয়া হয়েছে। এই পরীক্ষায় লেভেল ১ পার করেছিলেন ১২ জন। পরে সেখান থেকে ৪ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল সেই ২০১৯ সালেই। সেই তখন থেকেই তাঁরা রাশিয়ার গ্যাগারিন রিসার্চ অ্যান্ড টেস্ট কসমোনট ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন। পরে বেঙ্গালুরুতে হ্যাল বিমানবন্দরের খুব কাছেই একটি পুরনো এয়ারপোর্ট রোডে এই চার মহাকাশচারীর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। তবে তাদের প্রথম ঝলক বায়ুসেনার ভিডিয়োতে দেখা গেলেও পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।