দিওয়ালি এবং ছট পুজোর সময় পশ্চিম ভারত ও দিল্লির একাধিক স্টেশনে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ট্রেনে উঠতে গিয়ে মানুষের হুড়োহুড়ি দেখা গিয়েছিল। এরপরও সাম্প্রতিককালে একাধিক ট্রেনের সংরক্ষিত কমরায় দেখা গিয়েছে, টিকিটহীনদের ভিড়। এরই মধ্যে সম্প্রতি উজ্জয়িনী স্টেশনের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, স্টেশনে এতই ভিড় যে প্ল্যাটফর্ম দিয়ে ট্রেনে উঠতে চাওয়ার চেষ্টা বৃথা। তাই অপরদিকে লাইনের ওপর দিয়ে হেঁটেই মানুষজন ট্রেনে উঠতে চাইছে। তাতেও ব্যর্থ হয়ে অবশেষে ট্রেনের জানলা দিয়েই কোনওমতে ট্রেনে ঢোকার চেষ্টা চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ঘটনার ভিডিয়ো। ভাইরাল ভিডিয়োতে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখা গিয়েছে, এক যুবতী ট্রেনের জানালা দিয়েই কামরার ভিতরে ঢুকছেন। এরপর পিছনে দাড়িয়ে থাকা যাত্রীর হাত থেকে ব্যাগ নেন। আরও এক যুবতীকে একইভাবে ট্রেনে চাপেন। তিনি আবার শাড়ি পরেছিলেন। (আরও পড়ুন: নতুন বছরে এক ধাক্ক൲ায় অনেকটাই কমতে পারে বিম꧋ান ভাড়া, বড় ঘোষণা ইন্ডিগোর)
আরও পড়ুন: 'সা🥂মান্য দুষ্টুমি চলছে…', পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে মন্তব্য পুরীর
উল্লেখ্য, শীতের সময় কুয়াশার জেরে উত্তর ভারতের প্রচুর ট্রেন বাতিল হয়েছে বা তা দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছচ্ছে। এর জেরে যাত্🌳রীদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি অন্য এক ঘটনায় আভাস কুমার শ্রীবাস্তব নামে এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেছিলেন, কনফার্ম টিকিট থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ট্রেনে দাঁড়িয়ে থেকেই যাত্রা করতে হয়। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে রাউরকেলা ইন্টারসিটি ট্রেনে। প্রথমত, ভিড় কামরায় নিজের আসন পর্যন্ত যেতেই অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয় বলে জানান আভাস শ্রীবাস্তব। এরপর নিজের আসনে গিয়ে আভাস দেখতে পান, একজন গর্ভবতী মহিলা তাঁর জন্য সংরক্ষিত আসনে বসে আছেন। এই আবে সেই মহিলাকে আসন থেকে উঠতে না বলে তিনি যাত্রার পুরো দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করেন বলে দাবি করেছেন আভাস। আভাস জানান, তিনি ২এস কোচে সংরক্ষিত আসনের টিকিট কেটেছিলেন। তবে কামরায় এত টিকিটবিহীন যাত্রী ছিলেন যে তাঁর মনে হয় তিনি জেনারেল কামরায় ভ্রমণ করছেন।
এর আগে উৎসবের মরশুমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেনে উপচে পড়া ভিড়ের ছবি ভাইরাল হয়েছিল। সুরাটে পদপিষ্ট হয়ে এক যাত্রীর মৃত্যুও হয়েছিল। প্রসঙ্গত, দীপাবলি এবং ছট পুজো উপলক্ষে ভিড় সামাল দিতে দেশে ১,৭০০ টি অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও ভিড় নিয়ন্ত্রণে ভারতীয় রেল ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। এই সব অভিযোগের মাঝেই সম্প্রতি রেলমনত্রী ঘোষণা করেছেন, আগামী পাঁচ বছরে ৩০০০টি নতুন ট্রেন চালু করা হবে দেশে। পাশাপাশি কয়েকদিন আগে এনডিটিভি রেল মন্ত্রকের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে দাবি করে, আগামী ২০২৭ সালের মধ্য𒁏ে রেলের ব্যবস্থা এমন করা হবে যে, কোনও যাত্রী টিকিট কাটলে তা কনফার্মই হবে। আর ওয়েটিংয়ের ঝক্কি পোহাতে হবে না কাউকে।