হাতে আর তিনদিন। তারপরই রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন শুরু হয়ে যাবে। অর্থাৎ আগামী ১৩ নভেম্বর ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার প্রাক্কালে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণম🍸ূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে উপনির্বাচনে জিততে চাইছে বিজেপি। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য সরাসরি সওয়াল করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনকী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে পুলিশ এবং অশোক স্তম্ভের অপমানের অভিযোগ করলেন তৃণমূল কং꧙গ্রেস নেতারা। সুকান্তকে শোকজ করার দাবি নির্বাচন কমিশনকে জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। যা নিয়ে সরগরম রাজ্য–রাজনীতি।
এদিকে আজ, শনিবার মূলত তিনটি দাবি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ করেন। এক, বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যꦿবহার করছে। দুই, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপিকে ভোট দেওয়ার প্রচার করছে। তিন, সুকান্ত মজুমদার পুলিশ, অশোক স্তম্ভকে অপমান করছে। তাই শোকজ করা হোক। আজ নয়াদিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দꦓুয়ারে কড়া নাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। সেখানে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, কীর্তি আজাদ, সুস্মিতা দেব এবং সাকেত গোখলে। উপনির্বাচনের জন্য থেমে রয়েছে রাজ্যের উন্নয়ন। এই আবহে কী করণীয়, সেটারও সমাধান চাওয়া হয়েছে কমিশনের কাছে।
আরও পড়ুন: উলুবেড়িয়ায় ৯ কুকুর ছানাকে জলে ডুবিয়ে মারল দম্পতি, কোন অপরাধের শাস্তি জুটল?
অন্যদিকে উপনির্বাচনে বিজেপির এই প্রভাব খাটানোর বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা হয়। নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকে বৈঠক সেরে বেরিয়ে সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, ‘পাঁচ সাংসদের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে দু’টি অভিযোগ জমা দিয়েছে। ২০০৩ সালের নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং তাঁদের সঙ্গে একজন রাজ্য পুলিশের প্রতিনিধি থাকা প্রয়োজন। বাংলার উপনির্বাচনে আমরা যা দেখেছি কেন্দ্রীয় বাহিনী কাজ করছে বঙ্গ– বিজেপি নেতাদের সঙ্গে𒈔 সমন্বয় করে। ভোটারদের বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করছে।’
একদিকে যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে তেমনি অপরদিকে সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধেও নালিশ করা হয়েছে। আর সেই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেবের বক্তব্য, ‘বিজেপি জাতীয়তাবাদের কথা বলে। অথচ তাদেরই একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্য পুলিশকে বলছেন অশোক স্তম্ভের প্রতীক খুলে সেখানে চপ্পল লাগাতে। এটা সম্পূর্ণ অবমাননাকর মন্তব্য। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে গুরুতর পদক্ষেপের আহ্🐠বান জানিয়েছি। সুকান্ত মজমুদারকে শোকজ করা হোক। আমরা তাঁর বক্তব্যের ত🔯ীব্র নিন্দা করছি। আর অবিলম্বে পদক্ষেপের আশা রাখছি।’