ভারত মায়ানমার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার ব্যাপারে পরিকল্পনা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু স্থানীয়রা কি এই উদ্যোগকে মেনে নেবেন? টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ মিজোরামের সিয়াহা ও লাওয়ালাই জেলার বাসিন্দারা অবশ্য় কেন্দ্রের এই প্রস্তাবে একেবারꦉেই সায় দিতে চাইছেন না। রাজ্যসভার এমপি কে ভানলালভেনা এই এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পরে তিনি বাসিন্দাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই এমপিকে স্থানীয়রা তাদের মতামত জানিয়েছেন।
কিন্তু কেন এই বেড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের আপত্তি রয়েছে? এই দুটি জেলাই একেবারে মায়ানমার লাগোয়া। বছরের পর বছর ধরে তিয়াইয়ু ও ছিমটুইপুই নদীর ধারে স্থানীয়রা ধান চাষ সহ বিভ🀅িন্ন ধরনের চাষ আবাদ করেন। এমনকী এখানকার জঙ্গল থেকে বনজ সম্পদও তারা আহরণ করেন। এই দুটি নদীই একেবারে সীমান্ত ঘেঁষা। কিন্তু সেখানে বেড়া দেওয়🔜া হলে সামগ্রিকভাবে স্থানীয়দের চাষ আবাদের সমস্যা হবে। তাদের জীবন জীবিকার ক্ষেত্রেও বিরাট সমস্যা হয়ে যাবে।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এখানে বেড়া দেওয়া হলে বিরাট জায়গা চলে যাবে। এর জেরে সেখানকার মানুষের জীবন জীবি✱কায় বড় আঘাত হবে।
সাংসদ জানিয়েছেন, তিনি গোটা বিষয়টি কেন্দ্রের কাছে জানাবেন। অন্যদিকে ওই এলাকায় যে মায়ানমারের শরনার্থীরা রয়েছেন তাদের জন্য শিক্ষক দেওয়ার ব্যাপারেও তিনি আবেদন করবেন🌳 কেন্দ্রের কাছে।
তবে শুধু যে স্থানীরাই এনিয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন এমনটা নয়, মিজো জ♛িরলাই পাওল নামে একটি ছাত্র সংগঠনের তরফেও এনিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে। এই সংগঠনটি ওই রাজ্য়ের অন্য়তম প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠন হিসাবে 🌄পরিচিত। তারাও চায় না ওখানে বেড়া দেওয়া হোক। এনিয়ে তারা সেখানকার মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
এদিকে অরুণাচল, নাগাল্🤡য়ান্ড, মণিপুর ও ⛄মিজোরামের ধার দিয়ে গিয়েছে মায়ানমার সীমান্ত।
ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তের মতো মায়ানমার সীমান্ত কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরেই বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনকে (বিআরও) এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারত মায়ানমার সীমান্তের প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার এলাকা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে 📖ঘিরে দেওয়া♋ হবে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে বিআরও-এর অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্ব) পি কে এইচ সিং বলেছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার সীমানা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়ার জন্য চিহ্নিত করেছে। ইতিমধ্যেই মণিপুরের মোরেহ সীমান্তে ১০ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। সেই অসম রাইফেলসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ভারত-মায়ানমার সীমান্তকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান🎃্তের মতো কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সুরক্ষিত করা হবে। তারপরেই এই উদ্যোগ।