তাঁর পরিচিতে বহু। তিনি নিজে লেখিকা, সমাজসেবী। এছাড়াও তিনি ইনফোসিস সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা 𓂃নারায়ণ মূর্তির স্ত্রী। তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের স্ত্রী অক্ষতার মা। ফলে সুধা মূর্তির পরিচিতি এক কথায় বাঁধা যায় না। এহেন ব্যক্তিত্ব সদ্য এক কনক্লেভে তুলে ধরেন সফল পুরুষের স্ত্রী হতে গেলে কী কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তার খতিয়ান। মজার ছলে বহু তথ্য তুলে ধরেন সুধা মূর্তি।
সুধা মূর্তি তাঁর বক্তব্য শুরু করার আগে, কনক্লেভে বক্তব্য রাখছিলেন ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি ও তাঁর ছেলে রোহন মূর্তি। দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম নিয়ে তাঁরা বক্তব্য পেশ করছিলেন। এরপর কনক্লেভে বক্তব্য রাখতে ওঠেন সুধা মূর্তি। এককালে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ুয়া ও🎉 আইআইএসসি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতোকোত্তর পাশ সুধা তাঁর বক্তব্যে মজার ছলে টেনে আনেন সফল পুরুষের স্ত্রী হওয়ার ঝক্কির দিকটি। সুধা মূর্তি বলেন, ‘সফল পুরুষের সঙ্গে একসঙ্গে থাকাটা খুবই কঠিন।’ এর আগে সুধা মূর্তির প্রবল প্রশংসা করে বক্তব্য রেখেছিলেন নারায়ণ মূর্তি। তারপরই, সুধা মূর্তি বলেন,'আমি যুব অন্তঃপ্রনরদের বলতে চাই যে সফল ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে থাকাটা খুবই কঠিন। তারা স্বাভাবিক নন, তাঁরা উদ্ভট, তাঁদের যুক্তিবোধ কেবল অফিসে বাড়িতে নয়।' উল্লেখ্য, টাটা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড লোকোমোটিভ কম্পানিতে নিযুক্ত হওয়া দেশের প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার সুধা মূর্তি তাঁর স্বামীকে নিয়ে মজার ছলে বলেন, ‘ওঁরা (সফল পুরুষ) আশা করবেন যে স্ত্রী, একজন সেক্রেটারি, ফিনান্স ম্যানেজার,আয়া, পরামর্শ দাতা, সমস্ত ভূমিকায় থাকবেন। একজন মহিলাকে এই সব কাজ করতে হয়। আর কোনও কাজে যদি আপনি ব্যর্থ হন, তাহলে তার প্রভাব খারাপভাবে পড়ে তাঁদের ওপর।’ একধাপ এগিয়ে সুধা মূর্তি বলেন, ‘মহিলাদের পুরুষের থেকেও শক্তিশালী হতে হয়।’
এককালে শিক্ষিকা মা ও চিকিৎসক বাবার পরিবারে বেড়ে ওঠা সুধা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে যোগ দিয়েছেন টাটার সংস্থায়। পরে ধীরে ধীরে স্বামী নারায়ণ মূর্তির পাশে দাঁড়িয়ে তিলে তিলে গড়তে দেখেছেন ইনফোসিসকে। নিজের দুই সন্তান রোহন ও অক্ষতার মা হিসাবেও পালন 🍨করেছেন দায়িত্ব। সুধা মূর্তি বলছেন, ‘ তিনি (নারায়ণ মূর্তি) হয়তো সংস্থায় খুবই শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব, তবে আমি তার দ্বিগুণ। আমি মনে করি সব অন্তপ্রনরদের স্ত্রীরা আরও বেশি গুণী, আরও বেশি পরিশ্রমী, ভালো ম্যানেজার ও দারুন সিইও আর খুব ভালো সঙ্গী। যাঁরা তাঁদের স্বামীদের এভাবে পাশে থেকেছেন, সেই মহিলাদের কাছে যাক কুর্নিশ।’