লোকসভা ভোটের মুখে নির্বাচন কমিশনারের ꦚপদ থেকে অরুণ গোয়েলের পদত্যাগের খবর আলোড়ন ফেলেছিল। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও এই পদত্যাগের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার তাঁর পদত্যাগ পত্রে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ উল্লেখ করে এই ইস্তফা দিয়েছে। তবে বেশ কিছু প্রশ্ন এই পদত্যাগ ঘিরে ঘোরাফেরা করছে।
তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ৩ বছর বাকি থাকতেই নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে সদ্য শনিব⛎ার পদত্যাগ করেছেন অরুণ গোয়েল। বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করছে যে, পদ থেকে যাতে তিনি ইস্তফা না দেন, তার জন্য সরকারের তরফেও চেষ্টা হয়েছিল তাঁকে বোঝানোর। তবে ১৯৮৫ সালের পঞ্জাব ক্যাডারের আইএএস অফিসার অরুণ গোয়েল তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে সরেননি বলে খবর। প্রশ্ন উঠছে, ঠিক কী কারণে অরুণ গোয়েল তাঁর পদ থেকে সরে আসেন? বেশ কিছু রিপোর্টের দাবি ২০২৭ সালে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষের আগে, ২০২৫ সালে তিনি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদেও উত্তীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সেই জায়গা থেকে কেন এমন সিদ্ধান্ত?
এদিকে, এই ইস্তফার নেপথ্যের কারণ নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস ৫ অফিসারের সঙ্গে কথা বলে। রিপোর্ট দাবি করছে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে তাঁর মতের পার্থক্য ছিল, তবে তা দিয়েও অরুণ গোয়েলের আচমকা ইস্তফাকে ব্যাখ্যা করতে পারছেন না অনেকেই। তবে এই মত বিরোধ নিয়ে বেশ কিছু তথ্য উঠছে। জানা যায়, ২০২৩ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের অন্দরে গোয়েলের সঙ্গে কুমারের মতপার্থক্য হয় শিবসেনার দুই শিবিরের নামকরণ ও প্রতীক চিহ্ন বণ্টন নিয়ে। একনাথ শিন্ডে শিবিরকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রতীক দেওয়া নিয়ে দুই রাজীব কুমারের সঙ্গে অরুণ গোয়েলের মতের মিল হয়নি সেবার বলে দাবি করা হচ্ছে। নীতি অনুসারে, যখন একটি রাজনৈতিক দলে দলাদলি থাকে, দলের নাম এবং প্রতীক বরাদ্দের জন্য, নির্বাচন সংস্থাকে আইনসভা এবং সাংগঠনিক উভয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা যাচাইয়ের উপর নির্ভর করতে হয়। শিবসেনার মামলায় কমিশন শুধুমাত্র আইনসভা সংখ্যাগরিষ্ঠতার উপর নির্ভর করেছিল। জানা যাচ্ছে, শিবসেনার মামলায় ২০২৩ এর ১৪ মার্চ নির্বাচন কমিশন, একটি পাল্টা হলফনামা দেয়, যার ♏আগে শিবসেনা কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। দাবি করা হচ্ছে, কমিশনের সেই পাল্টা হলফনামার বিষয়টি তৎকালীন কমিশনার অরুণ গোয়েলকে জানানো হয়নি অফিশিয়াল পদ্ধতি মারফৎ।
এছাড়াও একাধিক ইস্যু এই ইস্তফা ও মতপার্থক্য ঘিরে সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের হেডকোয়ার্টার নির্বাচন সদনের সংস্কারের কাজকে ‘করদাতাদের টাকার অপব্যবহার’বলে মনে করছিলেন গোয়েল। এছাড়াও𒈔 যে সমস্ত রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে, সেখানে কমিশনের প্রতিনিধিদের 'রাজার হালে' রাখার ‘ভিআইপি সংস্কৃতি’ নিয়ে তিনি অস্বস্তিও প্রকাশ করেছিলেন বলে খবর। প্রশ্ন উঠছে, এই সমস্ত কারণই কি অরুণ গোয়েলের ইস্তফার নেপথ্য কারণ? জল্পনা ꦬএখনও জারি।