২০২০ সালের মে মাসে চিনা সেনাবাহিনী যখন পূর্ব লাদাখে আন্🔯তর্জাতিক সীমান্ত লঙ্ঘন করে, তারপর থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে পৌঁছানো পর্যন্ত একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছিল।
এই সময়ের মধ্যে এনডিএ সরকারকে ক্ষমতায় টিকে থাকার পরীক্ষা দিতে হয়েছে। একইসঙ্গে, তা ভারতীয় সেনাবাহিনীর ধৈর্য্য ও কর্তব্যপরায়ণতা রক্ষা এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী ও কূটনৈতিক বিভাগে🐲র মধ্যে সমন্বয় রক্ষারও পরীক্ষা ছিল।
রাশিয়ার কাজানে চিনে🌳র প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবেই বৈঠক সারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু, এই আলোচনার প্রেক্ষাপট ও মঞ্চ তৈরির কাজ চলেছে অনেক আগে থেকেই।
৩,৪৮৮ কি🌸লোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত ও চিনের বাহিনীর মধ্যে সংঘাত যাতে প্রশমিত হয়, তা নিশ্চিত করতে দুই দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের মধ্যে লাগাতার আলোচনা চলেছে।
আশা করা যায়, আগামী দিনে, ভারত ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যা🧸তে আরও মসৃণ হয়, তার জন্য দুই দেশের বিদেশ ♛মন্ত্রীই উদ্যোগী হবেন।
💦আগামী দিনে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে বেজিংয়ে আয়োজিত হতে চলা কর্মসূচিতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
সেখানে বেজিংয়ের তরফে উপস্থিত থাকবেন চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ড🗹িরেক্টর তথা সেদেশের বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং 🐭য়ি। অন্যদিকে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গেও চিনের বিদেশ মন্ত্রীর বৈঠক হবে।
প্রসঙ্গত, পূর্ব লাদাখের দেপসাং ব্লুজ এবং দেমচক এলাকায় যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার দুই ধারে দুই দেশের বাহিনী টহলদারি শুরু করতে সহমত হয়েছে🤡, তার নেপথ্যে রয়েছে দুই দেশের কূটনৈতিক মধ্যস্থতাকারী (ডাব্লিউএমসিসি) এবং দুই তরফে সামরিক বাহিনীর কমান্ডার পদমর্যাদার আধিকারিকদের লাগাতার আলোচনা।
তথ্য বলছে, 🗹২০২০ সালের ১৫ জুন, গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকে মোট ১৭ বার আলোচনার টেবিলে বসেছে ডাব্লিউএমসিসি। এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ফের টহলদারি চালু করতে ২১ বার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন ভারত ও চিনের সংশ্লিষ্ট সেনা কমান্ডাররা।
২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হয়, গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণ-খুগরাং নুল্লা অঞ্চল ভারতের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। তারপরও দে꧃পসাং ব্লুজ এবং দেমচকে টহলদারির অধিকার ফিরে পেতে ভারত বদ্ধপরিকর।
নয়া দিল্লির সাফ কথা, সংশ্☂লিষ্ট এলাকার আগেকার পরিস্থিতি ফেরত না এলে সামগ্রিকভাবে সবকিছু সౠ্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয়।
বিরোধী কংগ্রেস ইতিমধ্য়েই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি ইস্যুতে 𒁃ভারত ও চিনের সমঝোতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু সূত্রের দাবি, গালওয়ানের কিছু অংশ, গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণ-খুগরাং নুল্লা অঞ্চল এবং প্যাংগং সো স্থায়ীভাবে ভারতীয় সেনা🧜র হাতে ছিল না। তবে, ভবিষ্যতে ওই এলাকাতেও টহল শুরু করতে ভারতীয় সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর।
আরও শোনা যাচ্ছে, সর্বশেষ বোঝাপড়ায় বাফার জোনগুলি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কারণ, তাতে নতুন করে সমস্যা তৈরি হতে পারে। পেট্রোলিং সমঝোতায় কেবলমাত্র ওয়েস্টার্ন 🎐সেক্টরকেই যুক্ত করা হয়েছে।
এই গোটা ঘটনায় ভারতের প্রশাসন﷽িক প্রধান বা নেতা হিসাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পশ্চিম, মধ্য ও পূর্ব সেক্টরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অংশগুলি চিনা ফৌজ দখল করে নেওয়ার পরও মোদী সেখান থেকে ভারতীয় বাহিনীকে পিছু হটতে দিতে রাজি হননি।
যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনী এখনও দেপসাং এবং 🧸দেমচকে পুনরায় টহলদারি শুরু করতে পারেনি, তবুও এই চুক্তির ফলে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পরিস্থি൩তি আগের তুলনায় সহজ হয়েছে। সেইসঙ্গে, এই অঞ্চলে সীমান্ত উত্তেজনাও কমেছে।
এই মুহূর্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার উভয় দিকে - ৫০ হাজারের বেশি সে🏅না, ট্যাঙ্ক, ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট রেজিমেন্ট মোতায়েন রয়েছে। চিনের তিব্বত ও সিনকিয়াং অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ ঘাঁটিগুলিতে এবং ভারতের শ্রী♒নগর থেকে গোয়ালিয়র, তেজপুরে যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রয়েছে।
তাই, সেনা অপসারণের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ শেষ করতে এবং পুনরায় টহলদারি চালাতে দুই পক্ষ🌃কেই এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে।
এখানে প্রশ্ন হল, দুই পক্ষ কি তাদের বাহিনী ও যুদ্ধ সরঞ্জাম প্রক💃ৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাবে? যদিও ﷽তা করেও, তাহলেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে তাদের অবস্থানের দূরত্ব কত হবে?
অনুমান করা হচ্ছে, আলোচনার টেবি📖লে যে সন্ধি হয়েছে, তা বাস্তবায়িত হতে হতে আরও একটি তীব্র শীতকাল দুই পক্ষের বাহিনীকে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ 🧜রেখার দুই পাশেই কাটাতে হবে।
ইতিমধ্য়েই কংগ্রেস দাবি করতে শুরু করেছে, চিনের কাছে নতিস্বীকার করেই সমঝোতা ♕করেছে মোদী সরকার। কি🌱ন্তু বাস্তব হল, চিনা বাহিনীর সঙ্গে ভারতের বিরোধের সূত্রপাত সেই ১৯৫০-এর দশকে এবং বর্তমান টানাপোড়েনে ১৯৬২ সালের যুদ্ধেরও প্রভাব রয়েছে।
সেই সময়ে মুখে 'হিন্দি-চিনি ভাই ভাই'-এর তত্🍰ত্ব আওড়ালেও আদতে ভারতের তৎকালীন রাজনৈতিক, সামরিক ও গোয়েন্দা বিভাগের দুর্বলতা পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছিল।
কাজানের মোদী ও জিনপিংয়ের বৈঠক অসামরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ হলেও ভারত ও চিন সীমান্তে যাতে নতুন করে অশান্তি না ছড়ায়, তা ⛎নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে নয়া দিল🌜্লি।
হিসাব বলছে, যেহেতু চিনের প্রেসিডেন্ট সেদেশের কেন্দ্রীয় সেনা কমিশনেরও প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট সম🎉ঝোতা চুক্তিতে যেহেতু তাঁর অনুমোদন আছে, তাই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় লাল ফৌজ আগ বাড়িয়ে আর কোনও পদক্ষেপ করবে না।
উলটো দিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী চিনকে পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ও সম্মান রাখার এবং সংবেদনশীল হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। কারণ, ভারত-চিনের সামরিক বিবাদ সমগ্র বিশ্বের জন্যই অশনি সঙ্কেত হতে ꦐপারে।