১৫ অগস্ট তালিবান কাবুলের দখল নিতেই ক্রমে অরাজকতা ছড়াতে থাকে শহরে। হাজার হাজার মানুষ পৌঁছে যায় বিমানবন্দরে। দেশ ছাড়ার হিড়িক বদলে চায় উন্মাদনায়। নিজের জীবনের পরোয়া না করে আফগানরা রানওয়েত♔েই বসে থাকেন, বিমানের চাকায় পর্যন্ত ঝুলে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ করে দেওয়া কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এর দেরে আটকে পড়েন কাবুলে নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিকরা। পরে অজিত ডোভাল, এস জয়শঙ্কর ফোন করে ভারতীয়দের কাবুল থেকে ভারতে ফেরানোর পথ বের করান।
ভারতীয় দূতাবাস থেকে কাবুল বিমানবন্দর পৌঁছতে সাধারণত ২০ মিনিটের বেশি লাগার কথা নয়। তবে ♉প্র🌞ায় ১৪টি গাড়ির কনভয়টিকে গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রায় এক ঘণ্টা। সেই কনভয় এসকর্ট করেছিলেন স্থানীয় কাবুলবাসীরা। ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা যাঁদের চিনত তাঁরাই সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে। জানা গিয়েছে ভারতীয়দের সেই কনভয়ের প্রথম এবং শেষ গাড়িতে স্থানীয় আফগানরা ছিলেন। এবং প্রতিটি গাড়িতে ছিলেন একজন করতে আইটিবিপি জওয়ান।
গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা যায় যে তালিবানদের পাশাপাশি কাবুলে রয়েছে ꦗপাকিস্তানের মদতপুষ্ট লস্কর এবং হাক্কানি জঙ্গিরা। এর জেরে ভা🌜রতীয়দের প্রাণনাশের আশঙ্কা আরও বাড়ে। এদিকে গ্রিনজোন থেকে কাবুল বিমানবন্দর পৌঁছানো পর্যন্ত কনভয়ের প্রতি মুহূর্তে গতিবিধির খবর ফোনের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছিল নয়াদিল্লিতে।
তালিবান চেকপোস্টে এই কনভয় একাধিকবার আটকানো হয়। সেখানে এস্কর্ট করা আফগানরা তালিবানের সঙ্গে কথা বলে বিমানবন্দরের তরফে এগোতে থাকে। এরপর এক বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রকের ♊তরফে 🐲জানানো হয়, আফগানিস্তানে কর্মরত ভারতীয় কর্মী, কূটনীতিক, সবাইকে কাবুল থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
সোমবার প্রথম দফায় ভারতীয় বায়ু সেনা𓆉র সি-১৭-এ ৪৫ জন ভারতীয়কে আনা হয়। যাদের মধ্যে অনেকেই আফগানিস্তানে ভারতের দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। এরপর দ্বিতীয় দফায় ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ বিশেষ এয়ারক্রাফ্টে কাবুল থেকে কূটনীতিক, আধিরকারিক এবং সাংবাদিকদের নিয়ে আসা হয়। বিমানটি গতকাল প্রথমে গুজরাতের জামনগরে নামে। পরে দুপুর ১টা নাগাদ নয়া দিল্লিতে পৌঁছায়। আফগানিস্তানে ভারতের রাষ্ট্রদূত রুদেন্দ্র ট্যান্ডনের🐲 সঙ্গে ১২০ জন কূটনীতিক, আধিকারিকরাও আসেন ওই বিমানে।