জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপ। একটি কুয়াশাচ্ছন্ন গ্রিনহাউস। আর তার ভিতরেই মাঝারি-ছোট গাছে ভর্তি আম। বাইরে তখন তাপমাত্রা -8C। তবে গ্রিনহাউসের ভিতরের থার্মোমিটারে তখন 36C। আরও পড়💃ুন: আকাশপথে ৫ ঘণ্টা ওড়ার পর টোকিওগামী বিমান ফিরল দিল্লি বিমানবন্দরে, কী ঘটেছে?
আমꦉ মানেই গ্রীষ্মের ফল। কিন্তু আপনি কি জানেন, জাপানের উত্তরতম দ্বীপের তুষারময় টোকাচি অঞ্চলেই ফলে বিশ্ব♊ের অন্যতম দামি আম। অতুলনীয় স্বাদ, গন্ধ ও বর্ণ সেই আমের।
'প্রথমে আমাকে কেউ সিরিয়াসলি নেয়নি,' জানালেন বছর বাষট্ট𝔍ির নাকাগাওয়া। এত ঠাণ্ডার মধ্যেও যে তিনি আম ফলাবেন, শুনেই অনেকে ভেবেছিলেন, 'পাগলের প্রলাপ'। মূলধনের অবশ্য অভাব ছিল না। একটি 🅰পেট্রোলিয়াম কোম্পানি চালাতেন তিনি। ২০১১ সালে একেবারে নতুন কিছু, প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত কোনও কাজ করতে চেয়েছিলেন তিনি। 'এখানে থেকে আমি প্রকৃতির মাঝে, প্রাকৃতিক কিছু করতে চেয়েছিলাম,' বলেন নাকাগাওয়া।
এ꧂র আগে জাপানের মিয়াজাকি আমের কথা আজ গোটা বিশ্ব জানে। অনেকটা সেই ধাঁচেই নিজের খামার গড়ে তোলেন মিয়াজাকি। নিজের আমের ভাল ব্র্যান্ডিংও করেন মিয়াজাকি। নাম দেন, 'হাকুগিন নো তাইয়ো'। বাংলা যার অর্থ, ‘তুষারের মাঝে সূর্য।’
আক্ষরিক অর্থেই তুষারের মাঝের ꧟সূর্যের মতোই উজ্জ্বল লাল-হলুদ বর্ণ এই আমের।
নাকাগাওয়ার এই আমের রহস্য হল দুই প্রাকৃতিক সম্পদ। হোক্কাইডোর মাটিতে খনিজের সঠিক ভারসাম্য, উষ্ণ প্রস্রবণের কারণে। শীতকালের বরফকেও কাজে লাগান তিনি। শীতকালে তিনি গ্রিনহাউস গরম করার জন্য প্রাকৃতিক উষ্ণ প্রস্রবণের ব্যবಌহার করেন। এদিকে গ্রীষ্মে বরফ কাজে লাগান। আর এভাবেই মরসুমকে নিজের মতো নিয়ন্ত্রণ করেই প্রায় ৫,০০০ আম ফলান।
এই প্রক্রিয়ার কারণে শীতের মাসেও আম পাকে। সেই সময়ে পোকামাকড় ༺কম থাকে। ফলে কীটনাশকও ব্꧙যবহার করতে হয় না।
বিশ্বের অন্যতম দুর্লভ এই আমের এক-একটির দাম ২৩০ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রা🥃য় যা প্রায় ১৮,৪০০ টাকা। হ্যাঁ, এই আমের যা দাম, তাতে একটি মাঝারি রেঞ্জের স্মার্টফোন এসে যাবে।
আরও পড়𒁃ুন: জাপানি নারীদের মতো টানটান উজ্জ্বল ত্বক চান? মেনে চলুন এই টিপসগুলি