আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে ভারত সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করার পরেই চলতি মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়। তবে নিদা দার, বিসমাহ মারুফদের সামনে সুযোগ ছিল শেষ ꦓম্য়াচ জিতে মাথা উঁচু করে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করার। যদিও ইংল্যান্ডের কাছে গোহারান হেরে একরাশ𝄹 লজ্জা নিয়ে দেশে ফিরছে পাকিস্তান।
ধারে ও ভারে পাকিস্তানের থেকে অনেক এগিয়ে ইংল্যান্ড। তাই বি-গ্রুপের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের জয় নিয়ে বাজি ধরতে রাজি ছিলেন না কেউই। তবে আশা করা গিয়েছিল নিদা দারর🐼া কিღছুটা হলেও পালটা লড়াই উপহার দেবে। বাস্তবে নিতান্ত আত্মসমর্পণ করতে দেখা যায় পাকিস্তানকে।
ইংল্য়ান্ডের সামনে এদিন নিতান্ত দুর্ব𒊎ল দেখায় পাকিস্তানকে। ছোট দলের♍ মতো পাকিস্তানকে নিয়ে ‘ছেলেখেলা’ করে একের পর এর রেকর্ড গড়ে ব্রিটিশরা। শুরুতে ব্যাট করে ইংল্যান্ড চার-ছক্কার ঝড় তুলে ২০০ রানের গণ্ডি টপকে যায়। পালটা ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানকে ১০০ রানের গণ্ডিও টপকাতে দেননি হেথার নাইটরা।
কেপ টাউনে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২১৩ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, চলতি মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপে এটিই কোনও দলের সর্বোচ্চ ইনিংস। আর কোনও দল এখনও পর্যন্ত ২০০ রানের গণ্ডি𝄹 টপকাতে পারেনি।
তাছাড়া ইংল্যান্ড💞 এই প্রথমবার মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপের আসরে ২০০ রানের গণ্ডি টপকায়। সেদিক থেকে অনবদ্য এক নজির গড়েন নাইটরা। ইংল্যান্ডের হয়ে ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন ড্যানি ওয়াট ও ন্যাট সিভার। উইমেন্স প্রিমিয়র লিগে দল না পাওয়া ওয়াট ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্য়ে ৩৩ বলে ৫৯ রান করেন। ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলে যোগ দেওয়া ন্যাট সিভার ৪০ বলে ৮১ রান করে নট-আউট থাকেন। তিনি ১২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া ৩১ বলে ৪৭ রান করেন অ্যামি জোনস। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা ম𒈔ারেন। পাকিস্তানের ফতিমা সানা ২টি এবং সাদিয়া ইকবাল, নিদা দার ও তুবা হাসান ১টি করে উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৯৯ রানে আটকে যায়। তুবা হাসান ২৮, ফতিমা সানা ১৬, সিদরা আমিন ১২ ও নিদা দার ১১ রান করেন। ইংল্যান্ডের ক্যাথেরিন ব্রান্ট ও চার্লি ডিন ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট দখল করেন ন্যাট সিভার, সারা গ্লেন ♔ও সোফি একলেস্টোন।
ইংল্যান্ড ১১৪ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জেতে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই সব থেকে বেশি রানের ব্যবধানে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড। সেদিক থেকে পাকিস্তান লজ্জাজনক নজির থেকে মুক্তি দেয় থাইল্যান্ডকে। কেননা এতদিন মহিলা টিꦅ-২০ বিশ্বকাপে সব থেকে বড় ব্যবধানে হারের রেকর্ড ছিল তাদের। ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১১৩ রানে হেরেছিল থাইল্যান্ড। সঙ্গত কারণেই ন্যাট সিভার ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।