লেটার মার্কস নিয়ে অ্যাশেজে ‘ব্যাজবল’ পরীক্ষায় পাশ করে গিয়েছে ইংল্যান্ড। এবার কি ভারতে এসেও ‘ব্যাজবল’ খেলবে ইংল্যান্ড? সেই প্রশ্নের জবাবে ইংরেজ অধিনায়ক বেন স্টোকস যে ইঙ্গিত দিলেন, তাতে নিঃসন্দেহে ভারতের রক্তচাপ বৃদ্ধি পাবে। সোমবার অ্যাশেজের শেষ স্টোকস জানান, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম কোচ হয়ে আসার পর ইংল্যান্ড যখন প্রথমবার ‘ব্যাজবল’ খেলা শুরু হয়েছিল, তখন সমালোচকরা বলেছিলেন যে দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান বা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেরকম মারকুটে ছন্দে খেলা যাবে না। কিন্তু সমালোচকদের চুপ করিয়ে দিয়ে প্রতিটি সিরিজে 'ব্যাজবল' খেলছিল ইংল্যান্ড। আর সমালোচকরা বলেছিলেন যে পরের সিরিজে সেরকমভাবে খেলতে পারবেন না ইংরেজরা। কিন্তু প্রতিবারই তাঁরা ভুল প্রমাণিত হয়েছেন। প্রতিবারই ‘ব্যাজবল’ খেলেছেন। অ𝄹্য়াশেজেও সেটা করেছেন। তাই আগামী বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ভারতের মাটিতেও ‘ব্যাজবল’ খেলার বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক।
সোমবার ওভালে অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্ট জয়ের পর ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের অধিনায়ক স্টোকস বলেন, ‘আমরা যখন নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিলাম, (তখন আলোচনা চলছিল যে) আমরা এরকমভাবে দক্ষিণಌ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলতে পারব না, (তারপর বলা হচ্ছিল যে আমরা) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এরকমভাবে খেলতে পারব না, (তারপর বলা হচ্ছিল যে আমরা) অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এরকমভাবে খেলতে পারব না। তাই দেখা যাক যে ভারতের বিরুদ্ধে আম♚রা সেরকমভাবে দেখতে পারি কিনা। সময়ই সেটা বলবে না।’
আরও পড়ুন: Ashes 2023 moments: স্টোকসের ক্যাচ বৈধ না ♎হলেও আউট দিতে হবে! হইচই ইংরেজদের, দুরন্ত ক্যাচ বেয়ারস্টোর
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুনে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের হেড কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক ম্যাককালাম। তিনি যেরকম আক্রমণাত্মক খেলতেন, সেরকম খেলা ইংল্যান্ডꦗের টেস্ট দলে নিয়ে আসেন। আর দলের অধিনায়ক হিসেবে স্টোকসকে পাওয়ায় তাঁর কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। ম্যাককালাম যেমন ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতেন, স্টোকসও ঠিক সেরকম ক্রিকেটে বিশ্বাসী। আর দু'জনের যুগলবন্দিতে টেস্ট দুনিয়ায় ‘ব্যাজবল’ যুগ শুরু হয়। যে ‘ব্যাজবল’-র শিকার হয়েছে বিশ্বের তাবড়-তাবড় দল।
তবে অনেক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য ছিল, দুর্বল দলের বিরুদ্ধে ‘ব্যাজবল’ চললেও প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কদের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওসব তত্ত্ব ধোপে টিকবে না। অ্যাশেজের প্রথম দুটি টেস্টের পর সেই মত আরও জোরালো হয়েছিল। কারণ প্রথম দুটি টেস্টেই হেরে যায় ইংল্যান্ড। তা দেখে অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন যে দিনের শেষে কে ‘ব্যাজবল’ খেলে টেস্ট জিতেছে আর কে চিরা💙চরিত ধারায় খেলে জিতেছে, তা দেখা হবে না। দেখা হবে যে কে টেস্ট জিতেছে। কিন্তু তৃতীয় টেস্ট থেকেই পুরো ছবিটা পালটে যায়। ‘ব্যাজবল’ তত্ত্বেই অনড় থেকে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজ ২-২ ফলে ড্র করেছে ইংল্যান্ড। ম্যাঞ্চেস্টারে বৃষ্টি না এলে সিরিজ জিতেও যেতে পারতেন স্টোকসরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।