লিগ পর্ব শেষ। শেষ চারের লড়াই শুরুর আগে কিছু পরিসংখ্যান যদি নাড়াঘাটা করা যায়, তা হলে দেখা 𒊎যাবে, লিগ তালিকার চার নম্বরে থাকা টিম, যে রেকর্ড গড়েছে, সেই নজির আইএসএল তালিকার প্রথম তিন টিমেরও নেই।
অনেক বছর পর কেরালা ব্লাস্টার্সকে হিরো আইএসএল সেমিফাইনালে দেখা যাবে। গত চারটি মরশুম তারা লিগ পর্বেই বেশ খারাপ অবস্꧂থায় ছিল। গত বারে লিগ টেবলে তাদের অবস্থান ছিল সবচেয়ে খারাপ, দশ নম্বরে। প্রথম ও তৃতীয় বারের রানার্স আপ হয়েছিল কেরালা।
এ বারের লিগে তারা ৩৪টি গোল করেছে, যা তারা আগের আর কোনও মরশুমে পারেনি। গোল খাওয়ার ক্ষেত্রেও তারা কিন্তু বেশ কৃপণতার পরিচয় দিয়েছে। সাতটি ম্যাচে একটিও গোল না খেয়ে মাঠ ছেড়েছে ✤তারা। ২০১৪-য় হিরো আইএসএলের প্রথম মরশুমেও একই সংখ্যক ‘ক্লিন শিট’ ছিল তাদের। এ বারে অন্যান্য দলগুলির চেয়ে সবচেয়ে বেশিবার ‘ক্লিন শিট’ রেখেছে তারাই।
এর জন্য পুরো কৃতিত্ব দিতে হবে তাদের তরুণ গোলকিপার প্রভসুখন গিলকে। যদিও সেভের দিক থেকে তিনি অনেক পিছিয়ে। এটিকে মোহনবাগানের অমরিন্দর সিং যেখানে ৫৫টি সেভ করে তালিকার এক নম্বরে রয়ে𝄹ছেন, সেখানে প্রভসুখন ৩৭টি গোল বাঁচিয়ে তালিকার ছ’নম্বরে রয়েছেন। ‘ক্লিন শিট’-এর দিক থেকে তিনিই সবার আগে। যে ম্যাচগুলিতে তিনি গোলে দাঁড়িয়েছেন, তার মধ্যে ছ’টিতে কোনও গোল খাননি। জামশেদপুর এফসি-ও এই দিক দিয়ে যুগ্ম ভাবে এক নম্বরে রয়েছে। কিন্তু তাদের গোলকিপার রেহনে🌼শ পাঁচটি ম্যাচে ‘ক্লিন শিট’ রাখতে পেরেছে।
এ বারের লিগে ন’টি ম্যাচে জিতেছে কেরালা ব্লাস্টার্স। হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে এক মরশুমে তাদের এটাই সবচেয়ে বে𝔉শি সংখ্যক জয়। তাদের ড্রয়ের সংখ্যা ৭। শুধু এসসি ইস্টবেঙ্গল তাদের চেয়ে বেশি সংখ্যক (৮) ম্যাচ ড্র করেছে। তবে কেরালার মতো এটিকে মোহনবাগান এবং এফসি গোয়াও সাতটি করে ড্র করেছে এই মরশুমে।
কিন্তু এমন একটি ব্যাপারে তারা চার সেমিফাইনালিস্টদের চেয়ে সবার ওপরে, যা খুব একটা ইতিবাচক নয়। সেটা হল হলুদ কার্ডের সংখ্য𒐪া। সারা লিগে ৪১ বার হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে তাদের ফুটবলারদের। সেরা চারের আর কোনও দলের ফুটবলাররা এত হলুদ কার্ড দেখেননি। যার মানে বেশ মারকুটে ফুটবলই খেলছেꦇ তারা। হলুদ কার্ডের দিক থেকে এক নম্বরে নর্থইস্ট ইউনাইটেড। তার পরেই কেরালা ও বেঙ্গালুরু।
সেমিফাইনালিস্টদে꧅র মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হলুদ কার্ড দেখেছে হায়দরাবাদ এফসি (৩৭), পরের দুই স্থানে যথাক্রমে জামশেদপুর এফসি (৩২) এবং এটিকে মোহনবাগান (২৭)। এত হলুদ কার্ড যখন, তখন ফাউলের দিক থেকেও যে কেরালা ওপরের দিকে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। মোট ৩০৭টি ফাউল করে সেমিফ🍌াইনালিস্টদের মধ্যে এক নম্বর তারাই। আর সব দলের মধ্যে ফাউলের ক্ষেত্রে তারা দ্বিতীয়, বেঙ্গালুরু এফসি-র (৩৪২) পরেই। পেনাল্টি থেকে গোল খাওয়ার ক্ষেত্রেও সবার আগে কেরালা। এই মরশুমে তারা পাঁচটি গোল খেয়েছে পেনাল্টি থেকে।
এ বারের লিগ পর্বে সবচেয়ে বেশি দূর থেকে গোল করেছেন কেরালা ব্লাস্টার্সের স্কোরাররাই। গড়ে ১৪.২৯ মিটার দূর থেকে গোল করেছেন তাঁরাই। এই ব্যাপারে তারাই অন্য দলগুলি🌜র চেয়ে এগিয়ে। শটের গড় দূরত্বের দিক থেকেও তারাই সবচেয়ে এগিয়ে। যত শট তারা নিয়েছে তার গড় দূরত্ব ১৮.৭১ মিটার। অর্থাৎ, বোঝাই যাচ্ছে, আক্রমণের সময় দূরপাল্লার শটই কেরালার আক্রমণ বিভাগের বেশি পছন্দ। ইন্টারসেপশনেও (২৮৮) এক নম্বর তারা।
এটিকে মোহনবাগান টানা ১৫টি ম্যাচে অপরাজিত থাকার আগে কেরালা ব্লাস্টার্স টানা দশটি ম্যাচে হারেনি। এটা তাদের এক নতুন নজির। ক্লাবে💦র দুই সর্বোচ্চ গোলদাতার আলভারো ভাস্কেজ ও👍 জর্জ পেরেইরা দিয়াজ। তাদের মোট ৩৪টি গোলের মধ্যে দু’জনেই আটটি করে গোল দিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট করেছেন আদ্রিয়ান লুনা। মোট সাতটি গোলে প্রত্যক্ষ সাহায্য করেছেন লুনা, যা ক্লাবের ইতিহাসে এক মরশুমে সর্বোচ্চ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।