সুব্রত মুখোপাধ্যায় যে শুধুমাত্র একজন বড়,নামী রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন, তা কিন্তু নয়। তিনি বরং মাটির কাছাকাছি থাকতে ভালবাসতেন। যে কারণে সম্ভবত কলকাতা ময়দানের সঙ্গে তাঁর গভীর যোগ ছিল। বিশেষ করে ফুটবলের সঙ্গে তো তিনিই আদ্যোপান্ত জড়িয়েছিলেন। মোহনবাগানের সহ সভাপতি ছিলেন সুব্রত। বরাবরই তিনি 🥂গঙ্গা পারের ক্লাবের বড় ভক্ত। ফুটবল আর মোহনবাগানকে ভালবেসেই জড়িয়ে পড়েছিলেন ক্লাবের সঙ্গে। তাই দীপাবলির রাজনৈতিক মহলের মতোই অন্ধকার নেমে আসে সবুজ-মেরুনেও। শুধু মোহনবাগান বলে নয়, সুব্রতর প্রয়াণে গোটা ময়দানই শোকস্তব্ধ।
শুক্রবার সবুজ-মেরুন ক্লা🦩বের পক্ষ থেকে রবীন্দ্র সদনে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁকে। মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস, অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত এবং প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় শেষবারের মতো সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানান। তাঁর দেহ সবুজ-মেরুন পতাকায় মুড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিন সুব্রতর সম্মানে ক্লাবের পতাকা ছিল অর্ধনমিত।
ক্লাবের সচিব সৃঞ্জয় বসু শোকার্ত গলায় বলছিলেন, ‘ভাবতে পারছি না, সুব্রতদা এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন। কী বলব? বলার মতো কোনও ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমি একজন অভিভাবকে হারালাম। আমার কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। যে কোনও দরকারে পাশে পেতাম। পরামর্শ করতে পারতাম। আমাকে জন্মাতে দেখেছেন উনি। মাঠে একসঙ𒊎্গে বসে খেলা দেখেছি। ওঁর সঙ্গে জয়ের আনন্দ, হারের দুঃখ ভাগ করে নিতাম।’ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘এমন তো নয় যে উনি অনেক দিন ধরে অসুস্থ। সুস্থ ছিলেন, কাজের মধ্যে ব্যস্ত ছিলেন, সেই অবস্থাতেই চলে গেলেন।’
শুধু তো ফুটবল নয়, ময়দানের অন্যান্🐟য খেলার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন সুব্রতবাবু। রাজ্য কবাডি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপꦇতি ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী। একটা সময় যুক্ত ছিলেন বেঙ্গল স্টেট টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেও। ইডেনে ক্রিকেট ম্যাচ হলেও সব রকমভাবে সাহায্য করতেন তিনি। স্বভাবতই তাঁর মৃত্যুতে যেন গোটা ময়দানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকস্তব্ধ বাংলার ক্রীড়াজগৎ-ও।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।