৮৭ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমব⛎ার রঞ্জি ট্রফি অনুষ্ঠিত হবে না। বিসিসিআইয়ের তরফে ঘরোয়া মুরশুমের যে সূচির কথা জানানো হয়েছে, তাতে মুস্তাক আলি টি-২০'র পরেই বিজয় হাজারে ট্রফি, মেয়েদের ওয়ান ডে টুর্নামেন্ট এবং অনূর্ধ্ব-১৯ বিনু মানকড় ট্রফির কথা বলা হয়েছে। যদিও আইপিএল অনুষ্ঠিত হবে যথারীতি।
রঞ্জি ট্রফির ৩৮টি দলের জন্য দীর্ঘ বায়ো-বাবল তৈরি করা যে কঠিন, সেটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন তারকা ওয়াসিম জাফরের মত, রঞ্জি খেলা না হলে বিসিসিআই যদি ঘরোয়া ক্রিকেটারদের আর্থিক স্বার্থ রক্ষার কথা ভাবে, তবে তার থেক🧸ে ভালো আর কিছুই হয় না।
Sportstar-কে জাফর বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে ৩৮টা দল নিয়ে টুর্নামেন্ট𒆙 আয়োজন কঠিন সন্দেহ নেই। বাইরে থেকে শুধু এটুকুই বলতে পারি যে, বহু ক্রিকেটারের ভাবিষ্যৎ নির্ভর করছে টুর্নামেন্টের উপর এবং এক্ষেত্রে একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সত্যিই কঠিন। তবে একজন ক্রিকেটার বা কোচ হিসেবে আমি চেয়েছিলাম রঞ্জি ট্রফি অনুষ্ঠিত হোক।’
জাফর আরও বলেন, ‘যদি আর্থিক দি꧒ক দিয়ে দেখা হয়, তবে একজন ঘরোয়া ক্রিকেটার সবথেকে বেশি উপার্জন করে রঞ্জি ট্রফি থেকেই। যাদের কোনও চাকরি নেই এবং ক্রিকেট খেলার উপর নির্ভর করে, এমন কঠিন সময়ে তাদের কাছে পরিস্থিতি🌄 খারাপ হয়ে দেখা দিতে পারে।’
বিসিসিআই তাদের বার্ষিক সাধারণ সভায় এই মর্মে আলোচনা সেরে রেখেছে যে, যদি রঞ্জি বা বিজয় হাজারে ট্রফি খেলা না হয়, তবে ঘরোয়া ক্ඣরিকেটারদের অর্থিকভাবღে সমর্থন করার কথা বিবেচনা করা হবে।
এপ্রসঙ্গে জাফর বলেন, ‘আশা করি এমনটাই হবে। সেটাই সবথেকে বড় বিষয়। এখনকার দিনে বহু ক্রিকেটার চাকরি করে না। তারা বেশিরভাগই তরুণ এবং তাদের প🐈রিবার তাদের উপর নির্ভারশীল। বিজয় হাজারে ট্রফিতে একটা ম্যাচ খেললে ৩৫-৪০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। গোটা মরশুম ধরে সংসার চালানোর জন্য এই টাকা যথেষ্ট নয়। পরের মরশুম শুরু হ♉বে অক্টোবরে এবং বেশিরভাগ ঘরোয়া ক্রিকেটারই আইপিএল খেলে না। সুতরাং, এটা সত্যিই কঠিন হতে চলেছে ক্রিকেটারদের কাছে। যদি বিসিসিআই ক্ষতিপূরণ দেয়, তবে তার থেকে ভালো আর কিছু হয় না।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।