মুর্থাজা জুনেইদ এবং মুতিব জোহেব। ভারতীয় বাইক দুনিয়াতে এই দুটো নাম খুবই পরিচিত। যারা বাইক স্পোর্টের সঙ্গে যুক্ত তারা এই দু’জনকে বেশ ভাল ভাবেই চেনেন বা জানেন। কিন্তু বাইকের জগতের বাইরে যেই সব মানুষ রয়েছেন তাদের কাছে আজ ওরা খুবই প্রিয়। তাঁরাও আজ এই দুই ভাইয়ের ভক্ত হয়েগꦐেছেন। অতিমারীর মাঝে যে এই দুই বাইক রেসার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন।
মটরসাইকেলের স্পোর্টস ছেড়ে এখন বেঙ্গালুরুর এই দুই বাইক রেসার অ্যাম🍃্বুলেন্সের স্টেয়ারিং ধরেছেন। করোনার এই পরিস্থিতিতে অসহায় মানু🎃ষদের হাসপাতালে পৌঁছে দিতে অ্যাম্বুলেন্স চালাচ্ছেন ওঁরা।
মুর্থাজা জুনেইদ এবং মুতিব জোহেব, দুই ভাই তিন মাস আগে নিজেদের মাকে হারিয়েছিলেন। তাঁরা জꦅানেন, নিজের মানুষকে হারানোর দুঃখটা কী। তাই এই আতঙ্কের মাঝে নিজেদেরকে ঘরবন্দি না করে দুই ভাই রাস্তায় নেমেছেন। আসলে ওঁরা বুঝেছিল বর্তমান অবস্থায় আইসিএউ বেড থেকে অক্সিজেন সবকিছু পাওয়া খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থায় নিজেদের ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি ইনজিওর সঙ্গে কাজ শুরু করেন পেশায় অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার ও বাইক রেসার মুর্থাজা জুনেইদ।
এই কাজ নিয়ে তাদের প্রশ্ন করা হলে মুতিব জোহেব জানান, ‘প্রথম রোগীকে গন্তব্যস্থলে নামানোর পরে আমি তাঁকে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করে জিতে বাড়ি ফেরার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছিলꦍাম। ঠিক যেমনটা আমি আমার সতীর্থ বাইক প্রতিযোগিদের করে থাকি। এটাও তো একটা যাত্রা। এই কাজটা শুরু করার পর থেকে আমাদের জীবন বদলে গেছে।’
আসলে এই অতিমারীর মাঝে প্রতিদিনই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যারা নিজের বাড়িতে আছেন তাঁদের অনেকেই সঠিক চিকিৎসার অভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন। কেউ তো আবার অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে হাসপাতা🌟লেই পৌঁছাতে পারছেননা। সেই সমস্ত অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আজ বাইক ছেড়ে অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার হয়েছেন বেঙ্গালুরুর এই দুই ভাই।
মুর্থাজা জুনেইদ ও মুতিব জোহেবের ভারতীয় মটরসাইকেল স্পোর্টসে কোনও পরিচয়ের প্রয়োজন পরেনা, কারণ এই জগতের কাছে খুবই পরিচিত মুখ ওরা।🉐 কিন্তু যারা মটরসাইকেল স্পোর্টসের বাইরে জগতের মানুষ তারা আজ ওঁদের ভক্ত হয়ে গেছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।