ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে সকলকে অবাক করেই বাদ দেওয়া হয়েছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। এই ঘটনার বহু দিন কেটে গিয়েছে। ভারত ফ꧟াইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২০৯ রানে হেরেও গিয়েছে। তবে দ্বিতীয় ডব্লিউটিসি চক্রে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এবং আইসিসি এক নম্বর টেস্ট বোলারকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সংস্করণের ফাইনাল থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা।
আর এই ফাইনালে ভারতের টানা দ্বিতীয় বার হারের পর অশ্বিন একটি বিস্ফ🍨োরক টুইট করেছিলেন। ভারতের⛄ হারের পরেই অশ্বিন টুইটারে তাঁর হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। তবে ফাইনালে ভারতের হারের পরেও, তিনি দুই বছরের চক্রে দলের সদস্যদের প্রচেষ্টাকে কৃতিত্ব দিয়েছিলেন। অশ্বিন টুইটে লিখেছিলেন, ‘বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল জিতে এই প্রতিযোগিতা শেষ করার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে অনেক শুভেচ্ছা। হারা দলের দিকে থাকাটা সব সময়েই যথেষ্ট হতাশাজনক। শেষ দুই বছর ধরে অনেক পরিশ্রম করে এই জয়গায় পৌঁছতে হয়েছিল আমাদের। অনেকে অনেক কথা বলছেন। কিন্তু আমি মনে করি, সব সতীর্থ এবং কোচেদের তাদের কাজের মর্যাদা দেওয়াটা একেবারেই যথার্থ। বিশেষ করে কোচিং স্টাফ, যাদের সমর্থন সব সময়ে পাওয়া গিয়েছে।’
আরও পড়ুন: শেষ চারে লঙ্কার বিরুদꦍ্ধে একটি বলও না খ🍒েলে ফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত
অশ্বিনের এই টুইটি নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ে ভারতের তারকা স্পিনার এই টুইটের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছিলেন যে, হৃদয়বিদারক অধ্যায়ের সমাপ্তি টানতেই তিনি এই টুꦐইটটি করেছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি তার পরিবারের উপর, বিশেষ করে তাঁর বাবার উপর চাপের বিষয়েও মুখ খুলেছিলেন।
অশ্বিনের দাবি ছিল যে, ‘যে মুহূর্তে ফাইনাল ম্যাচটি শেষ হয়, আমি একটি টুইট করেছিলা। কা♍রণ আমি একটি জিনিস বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমার এই অধ্যায়টা বন🌌্ধ করা দরকার। যে মুহুর্তে আমি সেই অধ্যায়কে বন্ধ করে দিতে পারব, তখন আমি এগোতে পারব। ভুলভাল ভাবনা নিয়ে বসে থাকার সময় নেই। আমি এখন জীবনকে অনেক ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছি।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘আমার পরিবারের উপর যে ধরনের চাপ বেড়ে যায়, সেটা অবিশ্বাস্য। আমার বাবার হার্টের সমস্যা এবং অন্যান্য সমস্যাও রয়েছে। প্রতিটি খেলায়, প্রতিটি দিনে কিছু ঘটলে তিনি কল করেন। ভীষণ চাপে পড়ে যান। আমার জন্য বাইরে গিয়ে খেলা খুব সহজ, কারণ এটিꦫ এখনও আমার নিয়ন্ত্রণে রয়েছেꦏ। আমার বাবার জন্য, এই বিষয়টি এক নয়। এবং আমি যা করি, তার দ্বিগুণ প্রভাব পড়ে বাবার মধ্যে।’
অভিজ্ঞ অফ-স্পিনার আরও স্বীকার করেছেন যে, তাঁর ক্যারিয়ারে যা ঘটে বা ঘটেছিল তার জন্য অন্যদের দিকে আঙুল তুলতে তিনি পছন্দ করেন না। এবং ডব্লিউটিসি ফাইনালে বাদ পড়ার পরে তিনি যে সহানুভূতির বার্তাগুলি পেয়েছিলেন, সেটা তাঁর কাছে বিরক্তিকর ছিল। অশ্বিন বলেওছেন, ‘আমার লড়াইয়ে আমি কখনও কোনও সহানুভূতি পাইনি। ফিরে গিয়ে এটা বলা খুব সহজ, ঠিক আছে 🧜এটি আমার জন্য ঘটেনি বা তার জন্য কিছু ঘটেনি। আমি নিজেকে এক সেকেন্ডও সহানুভূতি দেখাই না। তাই আমি সেই টুইটটি করেছিলাম। কারণ আমি এই অধ্যায়ে ইতি টানতে চেয়েছি।লোকেরা আমাকে সকলে সহানুভূতি দেখাচ্ছে, এটি আমি আর নিতে পারিনি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।