প্রস্তুতি🗹 ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতেই বাজিমাত করেছে ভারত। ব্যাটিংয়ে যেখানে কেএল রাহুল এবং সূর্যকুমার যাদব হাফ সেঞ্চুরি করে শিরোনামে উঠে এসেছেন, সেখানে শেষ ওভারে হৃদয় কেড়ে নিয়েছেন মহম্মদ শামি।
১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে, জোস ইংলিস হালকা হাতের শট খেলে রান নিতে চেয়েছিলেন, যাতে টিম ডেভিড স্ট্রাইক পেতে পারেন। কিন্তু সই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। কারণ বিরাট কোহলি দ্রুত বলটি ধরে সরাসরি সরাসরি স্টাম্পে মারেন। এবং স্টাম্প ভেঙেও যায়। কোহলির এই ক্ষিপ্রতার ফলে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান টিম ডেভিড ২ বলে মাত্র ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। টিম ডেভিড শেষ পর্যন্ত থাকলে অস্ট্রেলিয়া হয়তো এই ম𒆙্যাচ জিতে যেতে পারত।
আরও পড়ুন: চিতার ক্ষিপ্রতায় রানআউট, অজিদের অবাক করা ক্যাচ, অনুশীলন ꦍম্যাচেই ফাটাফাটꦰি কোহলি
এখানেই শেষ নয়। ইনিংসের শেষ অর্♓থাৎ ২০তম ওভারে অস্ট্রেলিয়া যখন জয় থেকে আর মাত্র ১১ রান দূরে ছিল, তখন দ্বিতীয় বার হৃদয় জয় করেন বিরাট কোহলি। শামি ওভারের তৃতীয় বল ছিল সেটি। ব্যাট করছিলেন প্যাট কামিন্স। তিনি একটি বড় শট মারতে গিয়েছিলেন। তবে লং অনের দিকে ফিল্ডিং করছিলেন বিরাট কোহলি এবং তিনি সেই বলটি এক হাতে হাওয়ায় লাফিয়ে ধরে ফেলেন। নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত ক্যাচ ছিল। যা দেখে সকলে চোখ কপালে তুলছেন।
কোহলির এমন 🎐প্রচেষ্টা দেখে প্যাট কামিন্সসহ সকলেই♛ হতবাক। এখানেও কোহলি তৎপরতা না দেখালে অস্ট্রেলিয়া কিন্তু সহজেই ম্যাচ জিতে যেত। ব্যাট হাতে কোহলি হয়তো সে ভাবে কিছুই করতে পারেননি। তবে ফিল্ডিং করেই বাজিমাত করে দেন কিং কোহলি।
এর পরেও ভারতের প্রাক🅰্তন তারকা ব্যাটার গৌতম গম্ভীর কিন্তু কোহলির কোনও প্রশংসাই করেননি। উল্টে দায়সারা গোছে কোহলꦅিকে খোঁচা মেরে বলেছেন, ‘এ রকম ক্যাচ বিশ্বকাপে নিলে ভালো হবে।’
আরও পড়ুন: শেষ উইকেটে বিশ্বরেকর্ড, তাও জিম্বাবোয়ের কাছে হার♓ল𓆉 আয়ারল্যান্ড
এখানেই শেষ নয়, কোহলির ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গে উঠতেই গম্ভীর বলেন, ‘ব্যাটারদের রান বানানোর মানসিকতাই থাকতে হবে। এক জন ব্যাটারের জন্য আর কোনও মানসিকতা থাকতেই পারে না। এক জন ব্যাটারের কাজটাই হল রান করা। একজন বোলারের যেমন উইকেট নেওয়া। এবং রান করা উচিত দলের জয়ের জন্য। এই নয় যে ꦆনিজের রেকর্ড করা বা ৫০-১০০০ করা। ৪০ করুন, বা ৫০ বা ৩০- কিন্তু এই ভাবে রান করুন, যাতে আপনার টিম ১৭০-১৮০ তে পৌঁছতে পারে।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আর রান তাড়া করতে হলে, সে ভাবে খেলা উচিত, যাতে লোয়ার মিডল অর্ডারের উপর থেকে চাপ সরে যায়। এই ধরনের বড় টুর্নামেন্টে খেলতে গেলে, ব্যক্তিগত✱ রেকর্ডের ভাবনা বাড়িতে রেখে যাওয়া উচিত। কারণ এই ধরনের টুর্নামেন্টে ব্যক্তিগত কোনও রেকর্ডের কোনও মূল্য নেই। ২০০ করে টিম যদি যেতে, সেটা প্রাপ্তি। আর ৫০০ করে কোয়ালিফাই করতে পারল না টিম, সেটার কোনও মূল্য থাকে না। তখন যে সমালোচনা হবে, সেটা আপনাকে নিয়🧜েও হবে।’
ম্যাচের কথা বললে, ভারত🥀 প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ১৮৭ রানের লক্ষ্য রেখেছিল। রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১৮০ রানে গুটিয়ে যায়। ভারতের হয়ে মহম্মদ শামি ৩ উইকেট নেন, অ্যারন ফিঞ্চ ৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিং꧙স খেলেন। তবে দলকে জেতাতে ব্যর্থ হন তিনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।