রবিবার দুবাইয়ের ময়দানে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেতাব জয়ের জন্য মুখোꦇমুখি হতে চলেছে দুই পড়শি দেশ অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। বর্তমানে যুগে খেলার ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান এবং ম্যাচ-আপ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মেগা ফাইনালে মাঠে নামার আগে দুই দলও নিশ্চয়ই বিভিন্ন পরিসংখ্যান দেখেই তাদের পরিকল্পনা সাজাবেন।
বিশ্বকাপ ফাইনালের লড়াই শুরু হওয়ার আগে এক নজরে দে﷽খে নেওয়াܫ যাক কিছু পরিসংখ্যান যা বদলে দিতে পারে ম্যাচের রং।
টসে জিতে বোলিং কর, এখনও অবধি শিশিরের কথা মাথায় রেখে বেশিরভাগই দলই এই পথেই হেটেছে। দুই সেমিফাইনালও তাই হয়েছে। বিশ্বকাপ ফাইনালেও অন্যথা হওয়ার সম্ভ꧙াবনা খুব কম। পরিসংখ্যান বলছে গত ১৭টি রাতের টি-টোয়েন্টি ম🐽্যাচে দুবাইয়ের ময়দানে ১৬টি ম্যাচই দ্বিতীয় ইনিংসে রান তাড়া করা দল জিতেছে। একমাত্র এবারের আইপিএল ফাইনালেই চেন্নাই সুপার কিংস প্রথমে ব্যাট করে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারায়। তাহলে টসে হারলেও ম্যাচ শেষ নাকি, এমনটা কিন্তু নয়। আরেক পরিসংখ্যান বলছে ১৮০-র অধিক রান করা দল ২০১৮ সালের পর থেকে ২০টি ম্যাচে মাত্র একবার পরাজিত হয়েছে। সুতরাং, প্রথমে ব্যাট করলে লক্ষ্য হবে ১৮০-র অধিক রান করার।
লেগ স্পিনার ইশ সোধির বিরুদ্ধেও অজিদের লড়াইটা বেশ রোমাঞ্চকর হবে। অজিদের বিরুদ্ধে নয় ম্যাচে ১৬ উইকেট নেওয়া সোধির রেকর্ড বেশ ভাল। ২০২০ সালেরಌ শুরু থেকে অজিরা লেগ স্পিনের বিরুদ্ধে লাগাতার ব্যর্থ হয়েছে। লেগ স্পিনের বিরুদ্ধে অজি ব্যাটারদের এই সময়ে গড় ১৪ এবং স্ট্রাইক রেট ১২২.০৮। ওয়ার্নারকে আট বলে দুইবার এবং ফিঞ্চ ও স্টইনিসকে তিনবার করে আউট করা সোধির ভূম𓃲িকা তাই বিশাল গুরুত্বপূর্ণ।
কিউয়িদের মধ্যে স্পিনের সম্ভবত সবথেকে ভাল খেলোয়াড় অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনেরও রেকর্ড অজি লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার বিরুদ্ধে খুব আহামরি নয়। ৫০ ওভার এবং ২০ ওভারের ফর্ম্যাট মিলিয়ে মোট চারবার জাম্পার বিরুদ্ধে উইকেট হারিয়েছেন উইলিয়ামসন। তবে মার্টিন গাপ্তিল এবং গ্লেন ফিলপ্সের রেকর্ড জাম্পার বিরুদ্ধে বেশ ভাল। ফিলিপ্স তো স্পিনই যথেষেট ভাল খেলেন। গত দুই বছরে স্পিনের বিরুদ্ধে তিনি ৪৮.৬৬-র গড় ও ১৪০-র অধিক স্ট্রাইক রেট বজায় রেখেছেন। ডেভন কনওয়ের অনಞুপস্তিতিতে তাই তাঁর প্রমোশন প্রায় নিশ্চিত বলে মনে হচ্ছে।
দুই দলের দুই ওপেনার গাপ্তিল এবং ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে বাঁ-হাতি বোলারদের লড়াইটাও বেশ জমবে। গাপ্তিল ২০১৮ সাল থেকে বা-হাঁতি ফাস্ট বোলিংয়ের বিরুদ্ধে মাত্র ৯০. ২৭-র স্ট্রাইক রেটে রান করার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি ২৪ বল অন্তর তাদের বিরুদ্ধে আউট হয়েছেন। মিচেল স্টার্ক ও তাঁর লড়াই তাই রোমাঞ্চকর হবে। ট্রেন্ট বোল্টের বিপক্ষে ওয়ার্নার মাত্র একবার আউট হলেও ৩৮ বল খেলে মাত্র ৩৭ রানই করেছেন তিনি। তাই তাঁর সামনেও চ্যালেঞ্জ থাবে। বিগত ৪০ বছরে অজিদের বিরুদ্ধে ১৬টি নক-আউট ম্যাচের প্রতিটিতে হেরেছ🔥ে কিউয়𒁏িরা। সেই পরিসংখ্যান বদলাতে এই নম্বর ও ম্যাচ-আপগুলোর গুরুত্ব বিশাল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।