এখনও হতে পার൲ে ম্যাচের ফয়সালা। কিন্তু সিডনিতে পঞ্চম দিনে রীতিমতো দৃঢ়প্রতিজ্ঞ দেখাচ্ছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। তা এতটাই যে ১৯৭৯ সাল থেকে এই প্রথম টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে এত বেশি সংখ্যক ওভার খেলল ভারত।
সিডনিতে চতুর্থ দিনের খেলার শেষেই স্পষ্ট ছিল, ম্যাচ বাঁচানোর জন্য লড়াই করতে হবে অজিঙ্কা রাহানেদের। সেজন্য রাহানে এবং চেতেশ্বর পূজারার দিকে তাকিয়ে ছিল ভারত। কিন্তু দিনের শুরুতেই ধাক্কা খায় সফরকারী দল। আউট হয়ে যান রাহানে। তারপর প্রতি-আক্রমণে অস্ট্রেলিয়ার উপর চাপ তৈরি করেন ঋষভ পন্ত। একটা সময় ম্যাচ জয়ের আশাও জাগিয়ে তুলেছিলেন। যোগ্যসংগ✅ত দিচ্ছিলেন পূজারা। কিন্তু চার বলের ব্যবধানে পন্ত এবং পূজারা আউট হতেই ম্যাচে জাঁকিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ জয়ের আশা তো শেষ হয়ে যায়, একইসঙ্গে হারার আশঙ্কাও বাড়তে থাকে। তারইমধ্যে ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরেন হনুমা বিহারী এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট সত্ত্বেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞার সঙ্গে খেলছেন বিহারী। চোট নিয়ে খেলেন পন্তও। ভাঙা আঙুল সত্ত্বেও রবীন্দ্র জাদেজা ব্যাট করতে তৈরি আছেন। সবারই লক্ষ্য, শেষ বিন্দু পর্যন্ত লড়াই করে সিরিজ ১-১ রেখে ব্রিসবেনে যাওয়া।
সেই লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ইতিমধ্যে ১২০ ওভারের (ভারতীয় সময় সকাল ১১ টা ৫০ মিনিট অনুযায়ী) বেশি খেলেছে ভার🅘ত। যা ওভারের নিরিখে ১৯৭৯ সালের পর চতুর্থ ইনিংসে ভারতের দীর্ঘতম ব্যাটিং। ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ড সফরের চতুর্থ টেস্টে ১৫০.৫ ওভার খেলেছিল ভারত। আট উইকেটে ৪২৯ রান তুলেছিল কপিল দেবদের ভারত। ৪৪৩ বলে ২২১ রান করেছিলেন সুনীল গাভাসকর। ২৬৩ বল খেলে ৮৩ রান করেছিলেন চেতন চৌহান। আর ১৩৯ বলে ৫২ রান করেছিলেন দিলীপ বেঙ্গসরকর। প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের সেই অদম্য লড়াইয়ে সেই টেস্ট বাঁচিয়েছিল ভারত।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।