একটা টুইট। একটা রিটুইট। তাতেই নাকি ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলের জীবন পালটে গিয়েছিল। ওই টুইট ♏এবং রিটুইটের পরে তাঁকে 💮ধারাভাষ্যকারদের প্যানেল থেকে বাদ দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। কিন্তু সেখান থেকে উঠে দাঁড়িয়েছেন হর্ষ। কমেন্ট্রি বক্সে হাতে মাইক নিয়ে আবেগমাখা কাহিনি শুনিয়ে চলেছেন। তারইমধ্যে সেই বিতর্কিত ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন হর্ষ।
কী নিয়ে ঠিক বিতর্ক হয়েছিল?
২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ♉্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এক রানে জিতেছিল ভারত। সেই ম্যাচের পর অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন টুইটারে বলেছিলেন, 'যাবতীয় সম্মান রেখেই বলছি যে সারাক্ষণ𒁏 অন্য খেলোয়াড়দের বিষয়ে কথা না বলে একজন ভারতীয় ধারাভাষ্যকার যদি আমাদের খেলোয়াড়দের বিষয়ে কথা বলেন, তাহলে খুব ভালো হয়।' যে টুইট রিটুইট করে তৎকালীন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি লিখেছিলেন, ‘আর কিছু যোগ করার নেই।’
সেই টুইট ও রিটুইটে কারও নাম উল্লেখ করা হলেও ইঙ্গিতটা হর্ষের দিক ছিল বলে দাবি করা হয়। তারইমধ্যে ধারাভাষ্য প্যানেল থেকে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ধারাভাষ্যকার হর্ষকে বাদ দিয়েছিল বিসিসিআই।ﷺ কোনও কারণ ব্যাখ্যা করা না হলেও সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা ছিল,๊ বচ্চনের টুইট ও ধোনির রিটুইটের পর সেই ঘটনা ঘটেছে।
তবে বেশিদিন হর্ষকে দূরে ঠেলে রাখা যায়নি। রাজকীয়ভাবে প্রত্যাবর্তন করেছেন। তারইমধ্যে সম্প্রতি সেই বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক বিমল কুমারের অনুষ্ঠান ‘Unheard stories of Harsha Bhogle Dil se & Bebak’-তে মুখ খুলেছেন। ওই অনু൩ষ্ঠানে ধোনির সেই রিটুইট নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। হর্ষ পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ওই বিতর্কের জন্য কাউকে দোষারোপ করতে চান না। ধোনি ও বচ্চনের টুইটের কারণেও সেই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল কিনা, তা জানেন না।
কী বলেছেন হর্ষ?
‘এখনও পর্যন্ত ওই বিষয়টি নিয়ে ধোনির সঙ্গে কখনও কথাই বলিনি। কারণ ধোনির কাছে যাওয়ার রাস্তাটাই কঠিন। আমি যদি ওই বিষয়টি নিজের মধ্যে রেখে দিই, তাহলে আমার মধ্যে নেতিবাচকতা আসবে। ওই ঘটনার পরে আগুন জ্বলে উঠেছিল। ওই আগুনের ফলে ওই একটা বছর (২০১৬ সাল) আমার জীবন পালটে দিয়েছিল। গত ১০ বছরেℱর কথা যদি বিবেচনা করি, তাহলে ওই ঘটনা থেকেই আমি সবথেকে ইতিবাচক দিকের ꦍহদিশ পেয়েছি। ওই কারণেই আমি টিভি থেকে ডিজিটালে আসতে পেরেছি। যদি সেটা না হত….।’
‘আমি এমএসের (ধোনি) কথা বলছি না। কারণ কেউ একজন আমায় (ধোনিকে) মেসেজ করতে বাধ্য করেছিল। এমএসের থেকে মেসেজ এসেছিল যে ওই বিষয়ে কথা বলতে চাই না। তাহলে অন্য বিষয় নিয়েও বলতে হবে। আমিও কিছু আর জিজ্ঞাসা করছি না। আপনাকে যদি প্রত্যেক লোক আলাদা-আলাদা কথা বলে, তাহলে বুঝবেন যে আপনি কোনও ꦇভুল করেননি। কিন্তু ওই কারণে আমি টিভি থেকে ডিজিটালে আসি। ডিজিটাল মাধ্যম একটা আলাদা দর্শকের কাছে পৌঁছে যায়। ওটা যদি না হত, তাহলে আমি ডিজিটাল দুনিয়ায় হয়ত অতটা যেতাম না।’
‘আমি এখনও পর্যন্ত জানি না যে এমএসের কারণে হয়েছিল নাকি বচ্চন সাহেবের টুইটের কারণে হয়েছিল, নাকি অন্য কোনও কারণে হয়েছিল। আমি কখনও বলিনি, আজও বলব না যে এই ব্যক্তির জন্য এরকম হয়েছে। (বচ্চন) সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছে। ওই বিষয় নিয়েই কথা হয়েছে - টুইটারের ডিরেক্ট মেসেজে। সৌভাগ্যবশত, উনি আমায় ফলো করতেন। আমি ওঁনাকে ডিরেক্ট মেসেজ করেছিলাম। উনি জবাব দিয়েছিলেন। বেশ বড়সড় কথা হয়েছিল আমাদের। আমি কাউ💦কে দায়ী করতে চাইনি। কারণ আমি সত্যিটা জানি না।’
'ধোনির সঙ্গে কোনও সমস্যা নেই। একেবারেই কোনও সমস্যা নেই। আমার সেইসব লোকেদের🐟 উপর রাগ ধরে, যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বা পিছন থেকে আক্রমণ করে। এটার অর্থ হল যে ওইস🌱ব লোকেরা ভয় পাচ্ছে। ওরা ভীতু। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাদা-আলাদা টুইটার হ্যান্ডেলের আড়ালে আক্রমণ করে। আগে রাগ হত। এখন দেখে মনে হয় যে কী করছে ওরা।'
পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নিয়ে কী বলেছিলেন হর্ষ?
এমনিতে ওই বিতর্ক নিয়ে অতীতে একাধিকবার মুখ খুলেছিলেন হর্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বমূলক ধারাভাষ্যের (ভারতꦏীয় ক্রিকেট দলের বিরোধী) অভিযোগ উঠেছিল, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি ইংরেজিতে যখন ধারাভাষ্য দিচ্ছেন, তখন সেই খেলার সম্প্রচার ভারত, বাংলাদেশ-সহ আরও দেশে যাচ্ছে। সেখানে শুধু ভারতের খেলোয়াড়দের নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। কারণ বাংলাদেশ বা অন্য দেশের লোকেরাও একইরকমভাবে ক্রিকেটকে ভালোবাসেন। হিন্দিতে সেই সমস্যা থাকে না বলে জানান তিনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।