মুছে গিয🎀়েছিল দীর্ঘ ২৮ বছরের ব্যবধান। ঠিক এই দিনটিতেই ৮৩-র লর্ডস হয়ে উঠেছিল ২০১১-র ওয়াংখেড়ে। ২ এপ্রিল মহেন্দ্র সিং ধোনির টিম ইন্ডিয়া পুনরুদ্ধไার করেছিল ক্রিকেটবিশ্বের সিংহাসন।
ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। সঙ্গত কারণেই ভারত ছিল খেতাব জয়ের অন্যতম দাবিদার। তবে ফেভারিট ছিল এমনটা বলা যাবে না। কারণ, শেষ তিনটি বিশ🐟্বকাপে অস্ট্রেলিয়া যে একাধিপত্য দেখিয়েছে, তা খর্ব করা সহজ ছিল না মোটেও।
তবে কোয়ার্টার ফাইনালে অজিদের পর্যুদস্ত করার পর টিম ইন্🍌ডিয়াকে কার্যত অপ্রতিরোধ্য দেখাচ্ছিল। সেমিফাইনালে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে যেভাবে ফাইনালের টিকিট হাসিল করেন ধোনিরা, তাতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা বলে😼 মনে হচ্ছিল খেতাবি লড়াইয়েই আগেই।
তবু না আঁচালে বিশ্বাস নেই গোছের একটা সংশয় থেকেই গিয়েছিল ভারতীয় সমর্থকদের মনে। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেটে ২৭৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত একসময় ১১৪ রানের মধ্যে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, সচিন তেন্ডুলকর ও বিরাট কোহলির উইকেট হিরি⛄য়ে বসেছিল। জয় তুলে নিতে ভারতের তখনও দরকার ১৬১।
হারের ভ্রুকূটি তখনও দূরে সরে যায়নি। সেই অবস্থায় ধোনির মাস্টার স্ট্রোক কাজে লেগে যায়। নিজেকে ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ নম্বরে তুলে আনেন মাহি। গম্ভীরের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ১০৯ রান যোগ করেন ধোনি। গম্ভীর আউট😼 হয়ে বসলেও দায়িত্ব কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলেননি মাহি। অধিনায়কোচিত দৃঢ়তায় যুবরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত✃ করেন তিনি।
৪৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নুয়ান কুলশেখরাকে ছক্কা হাঁকিয়ে দেশকে দ্বিতীয়বার ওয়ান ডে ক্রিকেটের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেন ধোনি। ১৯৮৩-তে কপিল দেবের ভারত প্রথমবার বিশ্ব ক্রিকেটের মুকুট মাথায় পরিয়েছিল দেশকে। ধোনির ভারত সেই মুকুট ꦐপুনরুদ্ধার করে আজ থেকে ঠিক ৯ বছর আগে।
২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালের সংক্ষিপ্ত স্কোর:- শ্রীলঙ্কা: ২৭৪/৬ (৫০ ওভার), মাহেলা জয়াবর্ধনে-১০৩, যুবরাজ সিং-৪৯/২। ভারত: ২৭৭/৪ (৪৮.২ ওভার), গৌতম গম্ভীর-৯৭, মহেন্দ্র সিং ধোনি-৯১*, বিরাট কোহলি-৩৫, লসিথ মꦍালিঙ্গা-৪২♑/২।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।