করোনা নিয়ে সারꦯা বিশ্ব যখন বিব্রত, তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একদা অজানা এক ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার গল্প শোনালেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য জাভেদ মিয়াঁদাদ। এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রায় ৫ লক্ষ করোনা আক্রান্ত মানুষ♔কে সাহস যোগাতে পারে মিয়াঁদাদে সংক্রমণ নিয়েও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সেই উদাহরণ।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রাক্তন পাক তꦓারকা জানান, ৯২ বিশ্বকাপের ফাইনালের সময় তিনি এক অদ্ভূত ভাইরাসে আক্রন্ত হয়েছিলেন, যার কোনও কুল-কিনারা করতে পারেননি ডাক্তাররাও। সংক্রমণের ফলে ব্যাট করার সময় প্রচণ্ড ঘামছিলেন তিনি🌠 এবং ভাইরাস তাঁর প্রাণশক্তি নিংড়ে নিয়েছিল।
২৮ বছর আগের সেই ঘটনার স্মৃতিচারণে মিয়াঁদাদ বলেন, 'যতবার আমি ফাইনালের ভিডিও দেখেছি, ভেবেছি শেষ পর্যন্ত আমরা কীভাবে জিতলাম ম্যাচটা। ব্যাট করার সময় আমরা শুরুতেই উইকেট হারাই। তখন আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, যতক্ষণ পারা যায় ক্🎀রিজে দাঁড়িয়ে থাকা।'
পরক্ষণেই ভাইরাস প্রসঙ্গে পাক তারকা জানান, 'আমি ভীষণ অস্বস্তিতে ছিলাম। ভাইরাল ইনফেকশন নিয়েই আম🐬ি ব্যাট করতে নেমেছিলাম ফলে দৌড়তে পারছিলাম না। যদি আপনাদের সঠিক মনে থাকে তো দেখবেন গোটা ইনিংসে আমি সেভাবে শট খেলতেই পারিনি। আমি জানতাম না আমার সমস্যাটা কোথায়। অদ্ভূত কোনও এক ভাইরাসে আমি আক্রান্ত হয়েছিলাম, যার ফলে আমার প্রচণ্ড ঘাম হচ্ছিল। আমি কার্যত ক্রিজে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ক্রিজের অন্য দিকে ইমরান ছিল। আমাদের দু'জনের পার্টনারশিপটাই দলকে সম্মানজনক ইনিংস গড়তে সাহায্য করে। পরে ডাক্তারদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করেও যথাযথ কোনও উত্তর আজও পাইনি যে, সেদিন ঠিক কী হয়েছিল আমার।'
উল্লেখ্য,ꦍ মিয়াঁদাদ ও ইমরানের ১৩৯ রানের পার্টনারশিপ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনালে পাকিস্তান ইনিংসের ভিত গড়ে দেয়। ইমরান ১১০ বলে ৭২ ও মিঁয়াদাদ ৯৮ বলে ৫৮ রান করেন। ইনজামাম উল হক ৩৫ বলে ৪২ ও ওয়াসিম আক্রম ১৮ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৯ রান তোলে। জবাবে ইংল্যান্ড ৪৯.২ ওভারে ২২৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ২২ রানে ম্যাচ জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।