শুভব্রত মুখার্জি: ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের নেতৃত্বে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। এর ঠিক ২৮ বছ🎉র পরে ২০১১ সালে দেশের মাটিতে তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারতীয় দল। ওয়াংখেড়েতে ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারতীয় দল। সেই স্মৃতি আজও টাটকা রয়েছে কোটি কোটি ভারতীয় সমরও্থকদের মনে। সেই বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন হরভজন সিং। সমর্থকদের আদরের 'ভাজ্জি' মনে করেন একজন ক্রিকেটার যদি সেই বিশ্বকাপে না থাকত তাহলে ভারতের ট্রফি জয় সম্ভব হত। ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের ক্রিকেট কেরিয়ার এবং ২০১১ বিশ্বকাপে তাঁর পারফরম্যান্সকে কুর্নিশ জানাতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন হরভজন সিং।
ভারতের ওই বিশ্বকাপ জয়ের ১২ বছর পূর্তিতে এক স্পেশাল এপিসোডের আয়োজন করা হয়েছিল স্টার স্পোর্টসের তরফে। সেই বিশেষ পর্বে দেখা যায় বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, ইউসুফ পাঠান, হরভজন সিং, শান্তাকুমারান শ্রীসন্তকে। সেখানেই যুবরাজের পারফরম্যান্সকে কুর্নিশ জানিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন হরভজন সিং। সেই বিশেষ পর্বে ২০১১ বিশ্বকাপে তাদের সেরা মুহূর্তগুলো তুলে ধরেছিলেন তারকারা। এরপর একটি মজার কুইজেও অংশ নেন তারা। যেখানে তাদের প্রাক্তন সতীর্থদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাদের। ২০১১ বিশ্বকাপে শতরান করার পাশাপাশি কোন ভারতীয় ক্রিকেটার এক ম্যাচে পাঁচ👍 উইকেটও নিয়েছিলেন সেই প্রশ্নের জবাবে হরভজন তৎক্ষণাৎ যুবরাজ সিংয়ের নামটি নেন।
এরপরেই বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, হরভজনকে খোঁচাতে থাকেন যুবরাজকে নিয়ে গল্প বলার জন্য। যার উত্তরে হরভজন জানান যে তখনও যুবরাজ সিং তার ক্যান্সারের বিষয়টি জানতেন না। যুবরাজ অনবরত কাশতেন। প্রচন্ড একটা চিন্তা তাঁকে গ্রাস করেছিল। তার সঙ্গে লড়াই করেই তিনি গোটা টুর্নামেন্ট খেল𓆉েছেন। এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও যুবরাজ সিং দুরন্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেন। গোটা টুর্নামেন্টে তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৯০.৫০। আট ইনিংসে তিনি করেছিলেন ৩৬২ রান। যার মধ্যে ছিল একটি শতরান এবং একটি অর্ধশতরানের ইনিংস। বল হাতেও তিনি নিয়েছিলেন ১৫টি উইকেট। তাঁর সেরা বোলিং ফিগার ছিল ৩১ রানে পাঁচ উইকেট।
আরও পড়ুন… AFC Women's Olympic qualifier: কিরঘি💞জস্তানকে ৫-০ উড়িয়ে শুরু হল ভারতের অভিযান
এই পারফরম্যান্সের কথা তুলে ধরেই হরভজন সিং বলেন যুবরাজ না থাকলে ভারতের একবার নয় দুবার বিশ্বকাপ (২০০৭ টি-২০ এবং ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ) জয় সম্ভব হত না। হরভজন জানান, ๊‘ও (যুবরাজ সিং) না থাকলে আমাদের বিশ্বকাপ জেতাইটাই সম্ভব হত না। দ্বিতীয়বার ভারতকে বিশ্বকাপ জিততে ও সাহায্য করেছে। আমি মনে করি যুবরাজ সিং না থাকলে ২০১১ সালে বিশ্বকাপটাই জেতা হত না ভারতের। যুবরাজের মতন একজন ক্রিকেটার অতীতেও ছিল না আর এখনও নেই। কারণ ওঁর মতন প্রত🅠িভাবান ক্রিকেটার একজনই হয়। যুবরাজ খুব অসুস্থ ছিল। ব্যাটিং করার সময়েও অনবরত কাশত। মাঝে মাঝে বমিও করত। আমি ওকে বলতাম তুমি এত কাশছ কেন! তোমার বয়সটা দেখ। আমরা কেউ জানতামও না কতটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে কি অনবদ্য লড়াই করেও খেলছে! পরবর্তীতে দেখা যায় যে ওইগুলো ছিল ওঁর ক্যান্সারের লক্ষ্মণ। চ্যাম্পিয়নকে আমি কুর্নিশ জানাই।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার H🦄T App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।