ট্রিলিয়ন ডলারের তালিকায় আরও এক প্রযুক্তি সংস্থা। Nvidia Corp-এর শেয়ারের দর তুঙ্গে পৌঁছে যায়। আর তার জেরেই ট্রিলিয়ন ডলার মার্কেট ভ্যালুতে পৌঁছে যায় এনভিডಌিয়া। ওয়াল স্ট্রিটে প্রযুক্তি সংস্থাগুলির দুরাবস্থা। কিন্তু তারই 🍌মধ্যে দুর্দান্ত চাহিদা Nvidia-র শেয়ারের। কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের বৃদ্ধির বাজারে পাল্লা দিয়ে বাড়তে পারে এনভিডিয়া। আর সেই সম্ভাবনা থেকেই এই শেয়ারে আগেভাগে বিনিয়োগ করে রাখছেন সকলে।
Nvidia ঠিক কতটা বড়?
বাজার মূলধনের নিরিখে বর্তমাꦕনে Nvidia মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম বৃহত্তম সংস্থা। Apple, মাইক্রোসফট, অ্যালফাবেট এবং আমাজনের মতো সংস্থার ঠিক পরেই বর্তমানে Nvidia-র স্থান।
গেমারদের প্রথম প্রেম
যাঁরাই ক💝ম্পিউটারে টুকটাক গেম খেলেন, তাঁদের প্রত্যেকেই Nvidia-র সঙ্গে বেশ পরিচিত। গ্রাফিক্সের জন্য এনভিডিয়ার উপর ভরসা করা ছাড়া এক সময়ে অন্য কোনও উপায় ছিল না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সেই বাজারে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। আর Nvidia-ও বুদ্ধি করে সেই বাজার থেকে অন্য দিকে মনোনিবেশ করেছে। গেমিং চিপ তৈরি থেকে সরে এসে ডেটা সেন্টার মার্কেটেই ঝাঁপিয়ে পড়ে সংস্থা।
তাছাড়া মহামারীর সময়ে গেমিংয়ে একটি বুম এসেছিল। সেই সময়ে ক্লাউড অ্যাপশনও বেড়েছিল। তাছাড়া ক্রিপোর কয়েন মাইনিংয়ের জন্যও চিপের চাহিদা বেড়ে𒅌ছিল। সেই বাজারে চুটিয়ে ব্যবসা করে এনভিডিয়া।
গত অর্থবর্ষে ডেটা সেন্টার চিপের কারবার থেকেই শুধুমাত্র Nvidia-র মোট🦩 আয়ের ৫০%-এর বেশি এসেছিল🎃।
জেনারেটিভ AI নিয়ে এত মাথা ব্যাথা কেন?
ChatGPT-র জেরে এখন AI কী, তা মোটামুটি সবাই-ই জেনে গিয়েছেন। আর তার থেকেই সকলে বুঝতে পারছেন, আগামিদিনে এই AI-ই সব প্রযুক্তির✤ মূল🐼ে ধ্রুবক হয়ে থাকতে চলেছে। কনটেন্ট থেকে কোডিং, সবেতেই AI-এর প্রয়োগ ভবিতব্য।
মাইক্রোসফ♓ট কর্পোরেশন এবং অ্যালফাবেটের গুগল- বিশ্বের দুই প্রযুক্তি দানব। আর এই দুই স𒊎ংস্থাই জেনারেটিভ AI নিয়ে কাজ করছে। দুই সংস্থার কর্তারাই স্পষ্ট বলছেন, এই AI-কে কাজে লাগিয়েই ভবিষ্যত বদলে দেওয়া হবে। সার্চ ইঞ্জিন থেকে শুরু করে কাজের সফটওয়্যার, টুলস, সবেতেই এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো শুরু হয়ে গিয়েছে।
গোল্ডম্যান স্যাক্স-এর বিশ্লেষকদের অনুমান, ২০৩০ সাল নাগাদ ম🦩ার্কিন 💜মুলুকের সামগ্রিক অর্থনীতির ১% খালি এই AI-কেই বিনিয়োগ হতে পারে।
কিন্তু তাতে Nvidia-র ভূমিকা কী?
জেনারেটিভ AI-র জন্য যে বেশ শক্তিশালি কম্পিউটিং🐬 ব্যবস্থার প্রয়োজন, তা বলাই বাহুল্য। বিপুল পরিমাণে ডেটা প্রসেসিং, সুষ্ঠভাবে কাজের জন্য শক্তিশালী গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট(GPU) প্রয়োজন। আর এখানেই বাজিমাত Nvidia-র। কারণ তারাই বিশ্বের মোট GPU-এর ৮০% উত্পাদন করে।
এই GPU-গুলি এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে তা AI-এর কাজের জন্য উপযুক্ত হয়। অন্যদিকে সাধারণ কোনও সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট(যেমন ইনটেলের তৈরি) সামগ্রিক ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। সেক্ষেত্রে প্রায় সব ধরনের কম্পিউটিংয়ের কাজই হবে। কিন্তু শুধুমাত্র AI-এর কথা মাথায় রেখে সেটির আলাদা করে দক্ষত☂ার জায়গাটা থাকবে না।
এদিকে, OpenAI-এর ChatGPT তৈরির পিছনে রয়েছে হা꧒জার-হাজার Nvidia GPU। টেসলা CEO ইলন মাস্কও তাঁর AI স্টার্টআপের জন্য এই Nvidia-র GPU-ই ব্যবহার করছেন। গত এপ্রিলে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছিল।
বাজারে Nvidia-র প্রতিদ্বন্দী কারা?
বাজারে আপাতত Nvidia-র প্রধান প্রতিযোগিতা সেভাবে কেউ নেই। তবে আপাতত আমাজন, গুগল এবং মেটা প্ল্যাটফর্মস তাদের নিজেদের অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইস এবং AI চিপ তৈরি করা শুরু করেছে। ফলে সেখানটায় বাজার কিছুটা হলেও হারাতে পারে Nvi😼dia।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক