আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের গ্রাহকেরা সাবধান। গ্রাহকদের একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করার হুমকি দিচ্ছে প্রতারকরা। বাঁচতে হলে দিতেই হবে টাকা। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। নিজেদের সরকারি সংস্থার সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে এই কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। এ প্রসঙ্গেই সম্প্রতি সতর্কতা জারি করেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্ক। এক্সটর⛎শন স্ক্যাম বা বাংলায় বলতে গেলে চাঁদাবাজি কেলেঙ্কারিও বলা হচ্ছে একে। এই ক্ষেত্রে মূলত প্রতারকরা ইমেল করে ভয় দেখান গ্রাহকদের।
কীভাবে বুঝবেন স্ক্যামারদের ফাঁদে পা পড়তে চলেছে কিনা
এই বিষয়টি বোঝার জন্য, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক কিছু সতর্কীকরণ পয়েন꧃্ট বাতলে দিয়েছে,♍ যা একটি আর্থিক কেলেঙ্কারী চিহ্নিত করতে সাহায্য করতে পারে। প্র
১) তারকরা কল করে বা ম𒁃েসেজ পাঠিয়ে কিংবা ইমেলে নিজেদের সরকারি দফতরের কর্মী, লোন সংগ্রহ সংস্থা বা বিশ্বস্ত কোম্পানির বলে দাবি করতে পারে।
২) কেউ কল করে টাকা না দিলে আপনার বিরুদ্♉ধে আইনি ব্যবস্থা বা গ্রেফতারের হুমকি দিতে পারে। আর কোনও ব্যক্তি যদি ভয় পেয়ে একবার রাজিꦑ হয়ে যান, তাহলেই বিপদ।
৩) প্রতারকরা আপনার ব্যক্তি⛄গত তথ্যও চাইতে পারে, যেমন আপনার পাসপোর্টের বিবরণ, জন্ম তারিখ বা ব্যাঙ্কের তথ্𒆙যও চাইতে পারে।
৪) কলকারী এও দাবি করতে পারে য💧ে পুলিশ আপনার দোরগোড়ায় আসবে এবং আপনি যদি এখনই ফি বা জরিমানা না দেন, তাহলে আপনাকে নির্ঘাত গ্রেফতার করবে।
আরও পড়ুন: (তেল বাঁচবে, কার্বন ন🌊ির্গমন🍸ও কমবে! রেলওয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া Maruti Suzuki-র)
অনলাইন স্ক্যাম থেকে নিজেকে রক্ষা করার উপায় এখানে
- কেউ যদি ফোন করে আপনার থেকে টাকা চেয়ে বসে বা টাকা দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়, তাহলে ভয় পাবেন না। সরাসরি ফোনটি কেটে দিয়ে, নাম্বারটি ব্লক করে দিন।
- কেউ এসে কোনও গিফট, হ্যাম্পার, ভাউচার বা ওয়্যার ট্রান্সফারের মতো কিছু অফার করলে, ভুলেও তার পরিবর্তে কাউকে টাকা দিতে যাবেন না।
- কেউ ফোন করে যদি আপনাকে কোনও যোগাযোগের বিবরণ দেয়, কখনওই সেটি ব্যবহার করবেন না। সরাসরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ফোন করে সেই নম্বরের মালিকের পরিচয় যাচাই করুন। সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান এবং যোগাযোগের বিশদ অনুসন্ধান করুন।
- কোনও সন্দেহজনক টেক্সট বা ই-মেইলের উত্তর দেবেন না। আপনি যদি তা করেন, স্ক্যামাররা আপনার অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতারণার একধাপ এগিয়ে যাবে।
- আপনি যাকে চেনেন না বা বিশ্বাস করেন না তাকে কখনই টাকা পাঠাবেন না বা ক্রেডিট কার্ড, অনলাইন অ্যাকাউন্টের বিবরণ বা আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্টের মতো পরিচয় তথ্যও দেবেন না। এমনকি ই-মেইল বা ফোনেও কখনও এই ধরনের তথ্য শেয়ার করবেন না
- আপনি যাকে চেনেন না বা বিশ্বাস করেন না, তাঁকে কখনওই টাকা পাঠাবেন না বা ক্রেডিট কার্ড, অনলাইন অ্যাকাউন্টের বিবরণ বা আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্টের মতো পরিচয় প্রমাণ দেবেন না। কিংবা ই-মেইল বা ফোনে কখনওই সেগুলি শেয়ার করবেন না।
- যদি প্রতারণামূলক বার্তাটি ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানো হয়, তাহলে কোনও লিঙ্ক খুলবেন না, লিঙ্কে ক্লিক করবেন না এবং কোনও ফাইল ডাউনলোড করবেন না। একবার যদি এগুলো করে ফেলেন, আপনার কম্পিউটারকে মুহূর্তের মধ্যে ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে।