Updated: 05 Oct 2020, 11:52 PM IST
HT Bangla Correspondent
জিএসটি ক্ষতিপূরণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলল না সমাধানসূত্র। ২১টি রাজ্য কেন্দ্রের ফরমুলা মেনে নিলেও দশটি রাজ্য বলে যে মোদী সরকারের ধার নিয়ে তাদের প্রাপ্য অর্থ মেটানো উচিত। মূলত বিরোধী রাজ্যগুলি এই কথা বলে। সমাধানসূত্রের আশায় ফের ১২ অক্টোবর বৈঠক হবে। সাধারণত জিএসটি কাউন্সিলে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাই এদিন ভোটাভুটির পথে যেতে চাইনি কেন্দ্র। যদিও শেষ বিচারে হয়তো সেদিকেই যেতে হবে।
ক্ষতিপূরণ খাতে সোমবার রাতের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা রাজ্যদের দেওয়া হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। একই সঙ্গে Integrated GST (IGST) যারা কম পেয়েছে ২০১৭-১৮ সালে, তাদের সব টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে আগামী সপ্তাহে।
এখনও পর্যন্ত যে টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে, সেটা রাজ্যদের দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তবে এপ্রিল থেকে জুলাই অবধি কেন্দ্রের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত ১.৫১ লক্ষ কোটি। করোনা কালে ব্যবসার হাল ছিল করুণ। তারই প্রতিফলন জিএসটি সংগ্রহে। যে টাকাটি কম পড়ছে, সেটা কোথা থেকে জোগাড় করা হবে এখন সেটি নিয়েই চলছে বিতর্ক। কেন্দ্র বলছে রাজ্যদের ধার নিতে, যেটি পরে জিএসটি সেস থেকে মিটিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সহ বিরোধী দলগুলির সরকার আছে যে সব রাজ্যে, তারা এই প্রস্তাবে রাজি নয়। তারা বলছে কেন্দ্র ধার করে টাকা মেটাক, রাজ্য ঋণ নেবে কেন।
এদিন জিএসটি ক্ষতিপূরণ শুল্ক জুন ২০২২-র পরেও বলবৎ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভার্চুয়াল বৈঠকে। কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ রেট ২৮ শতাংশের ওপর শুল্ক নেওয়া হয়। আগে কথা ছিল এটি ২০২২-র মাঝামাঝি অবধি নেওয়া হবে। কিন্তু অর্থনীতির হাল যেখানে খুবই খারাপ, স্বাভাবিকভাবে টাকার যোগান কেউ বন্ধ করতে চায়নি। মূলত বিলাসবহুল পণ্য বা হানিকর জিনিসের ওপর চাপে এই শুল্ক।