সাসপেন্ড বীরভূম জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউ। রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বিক্রমজিৎকে চিঠি লিখে সাসপেন্ড করেছেন। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আপনাকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদর থেকে ৬ বছরের জন্য় সাসপেন্ড করা হল। অবিলম্বে এই নির্দেশ কার্যকরী হচ্ছে।
কারণ হিসাবে বলা হয়েছে' আপনি সোশ্য়াল মিডিয়ায় সম্প্রতি যে আচরণ করেছেন এটাকে দলবিরোধী কার্যকলাপ হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে। এটা মানা যায় না। আমরা প্রত্যাশা করি সর্বক্ষেত্রে আমাদের সমস্ত সদস্যরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মর্যাদা রক্ষা করবেন। '
সাসপেন্ড বীরভূম জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউ। কার্যত কেষ্ট মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে নিশানা করেছিলেন বিক্রমজিৎ। আর সেই ভিডিয়োকে ঘিরে শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই সংগঠন থেকে সাসপেন্ড করা হল টিএমসিপির জেলা শীর্ষ নেতাকে।
বিক্রমজিতের একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছিল। সেখানে তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল' ‘এই লিটন হালদার অনুব্রত মণ্ডল নামক ব্র্য়ান্ডকে দমানোর চেষ্টা করছে। লিটন হালদারের দম থাকলে বুকের পাটা থাকলে সত্যি কথাটা জানাও। বালিঘাট থেকে বোলপুরের সাধারণ মানুষকে নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলেছ, তুমি অনুব্রত নামক শক্তিকে নিজের অপকর্মের মাধ্যমে দমানোর চেষ্টা করছ। তোমার অপকর্মে অনুব্রতর শক্তি দমে না। ’
কার্যত লিটন হালদারকে এর আগে কদর্য ভাষায় হুমকি দিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনুব্রত। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। আর সেই অনুব্রতকে সাপোর্ট করে বোলপুর থানার আইসিকে কোণঠাসা করতে একেবারে উঠেপড়ে লাগেন কেষ্ট ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিক্রমজিৎ। কিন্তু তার ফল ভালো হল না। রাজ্য় নেতৃত্বের রোষে পড়লেন তিনি। ৬ বছরের জন্য় সাসপেন্ড করা হল তাকে।
তবে ওই ভিডিয়ো বার্তার পরে ক্ষমাও চেয়েছিলেন বিক্রমজিৎ। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কেষ্ট মণ্ডলের মতোই ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। এবার একেবারে সাসপেন্ড।
এদিকে বোলপুরের আইসিকে আক্রমণ করছেন অনুব্রত মণ্ডল সেই সংক্রান্ত যে অডিও ভাইরাল হয়েছে সেটা আবার এআই দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করছেন এক কেষ্ট অনুগামী। তার মধ্য়েই এসেছিল বিক্রমজিতের ভিডিয়ো বার্তা। বলা ভালো কড়া বার্তা। নিশানায় সেই বোলপুর আইসি। কিন্তু শেষটা ভালো হল না। এবারে একেবারে সংগঠন থেকেই সাসপেন্ড বিক্রমজিৎ।