নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে রবিবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তুলেছিলেন আরজিকরের চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের প্রসঙ্গ। আর সভা শেষ হতেই যথারীতি জবাব দিতে উদ্যোগী তৃণমূল।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসেছিলেন। গতকাল এসেছিলেন। আজ কর্মিসভা করেছেন। জামাই ষষ্ঠী। ষষ্ঠী ষষ্ঠী। বালাই ষাঠ। এমন কথা কিছু বলে গেছেন যে তার উত্তর না দিয়ে পারা যায় না। এসেছেন, গেছেন কর্মিসভায়। নেতাজি ইন্ডোরে। নেতাজি ইন্ডোর রাজ্যের একটা অডিটোরিয়াম। সেখানে কর্মিসভা হল। …বাংলায় আসছেন রাজ্য সরকারের একটি স্টেডিয়াম, সেখানে কর্মিসভা করার অনুমতি রাজ্য সরকার কিন্তু দিল। এমনটা কি হত এখান থেকে তৃণমূলে কেই যদি বিজেপি শাসিত রাজ্যে যেত যদি গুজরাটে যেত সেখানে কি অনুমতি পাওয়া যেত? কারণ এই রাজ্যের সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তিন বারের মুখ্য়মন্ত্রী গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। নিশ্চয়ভাবেই অন্য়রা তাদের কথা বলবেন। প্রশাসনে যখন আছেন তখন তাদের জায়গা করে দিতে হবে। বললেন ভোট যদি হিংসা ছাড়া না হয় তাহলে নাকি জমানত জব্দ হবে। ভায়োলেন্স করেই নাকি জিততে হবে না হলে নাকি জমানত জব্দ হবে। ইলেকশনটা কে করবে? করবে তো ন্যাশানাল ইলেকশন কমিশন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ভায়োলেন্স করাবেন বলছেন তাহলে ব্যর্থতা কার? যখন অপারেশন সিঁদুর-এর বিরুদ্ধে আমরা কিছু বলছি না। বাস্তব সত্য আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৫টি রাষ্ট্র ঘুরলেন, দেশের কথা বললেন, এক সুরে কথা বললেন। সেখানে এক সুরে যখন দেশের কথা তুলে ধরছেন আর আপনাদের সেই সময়টাই হল দেশের মধ্যে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মেয়েদের সঙ্গে অপমানসূচক খেলা তৈরি করার। প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন সেখানেও উঠেছিল অপারেশন সিঁদুরের কথা। অপারেশন বেঙ্গলের কথা বলছেন ওদের রাজ্য সভাপতি! তার মানে টা কী! আপনারা জোর জবরদস্তি করার চেষ্টা করছেন। জাতীয় ইলেকশন কমিশনকে ব্যবহার করে। ছি ছি ছি। মেয়েদের পবিত্র জিনিস সিঁদুর, রাজনৈতিক বাজারে বিক্রি করছেন। , কী করেছেন মেয়েদের জন্য। আরজিকর ! আমরাই তো ধরেছি। রাজ্যের সরকারের পুলিশ ধরেছে। উন্নাও হাথরাস কী হল। গোধরায় বিলকিস বানু কী হল। আপনাদের একটু ভাবতে হবে মেয়েদের নিয়ে এই খেলা করবেন না।'
চন্দ্রিমা বলেন, ‘অমিত শাহ মহাশয় আপনি ব্যর্থ। আপনার পদত্যাগ করা দরকার। এই যে দেখা গেল পহেলগাঁও, কী হল আপনার কাছে খবর ছিল না। আপনার যারা ছিল তারা করল টা কী! জম্মু কাশ্মীরের পুলিশ করলটা কী। আপনাদের অবহেলায় চলে গেল ২৬টা প্রাণ।’
‘আপনি বলছেন অনুপ্রবেশের কথা। আমরা দেশের স্বার্থে রাজনীতির উপরে উঠে কথা বলি। বলছেন বিরাট টাকা দিয়েছেন। কার টাকা কাকে দিচ্ছেন? মানুষের টাকা তো রাজ্য সরকারের। পুরোপুরি টাকা দিচ্ছেন না। এখনও ১.৭৫ লাখ কোটি টাকা পাওনা আছে। হিসেব করলে এই টাকা আরও বেশি দাঁড়াবে।’
প্রসঙ্গত আরজিকর প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেছিলেন, একজন মহিলা মুখ্য়মন্ত্রীর জমানায় আরজিকরের মতো ঘটনা হয়।