ত্রেতা যুগের শুরু থেকে মা অন্নপূর্ণা, ধূমাবতীর আবির্ভাব, অক্ষয় তৃতীয়া সাক্ষী এইসব দৈবী ঘটনার

Updated: 30 Apr 2025, 05:19 PM IST Sanket Dhar

সত্যযুগের অবসান, ত্রেতা যুগের শুরু। মা ধূমাবতীর আবির্ভাব থেকে জগন্নাথদেবের চন্দনযাত্রা। বারবার পুরাণের নানা অধ্যায়ে নানা দৈবী ঘটনার সাক্ষী হয়েছে অক্ষয় তৃতীয়া।

1/5বৈশাখ মাসের শুক্লা পক্ষের তৃতীয়া তিথিতে থাক রোহিনী নক্ষত্র। শাস্ত্র মতে এই দিনটিই অক্ষয় তৃতীয়া নামে পরিচিত। প্রাচীন বৈদিক যুগ থেকেই অক্ষয় তৃতীয়ার তিথি অশেষ মাহাত্ম্য। কথিত আছে, এই তিথিতে যেমন পাপ করলেও অক্ষয় হয়, তেমন পূণ্য করলেও তা অক্ষয় হয়ে থাকে। পুরাণ মতে, অক্ষয় তৃতীয়া বারবার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। জেনে নেওয়া যাক, পুরাণে সেই সম্পর্কে।

2/5বিষ্ণুর দশাবতারের অন্যতম ছিলেন পরশুরাম। তাঁর জন্ম হয়েছিল অক্ষয় তৃতীয়াতে। তাই এই দিনটিকে পরশুরাম জয়ন্তী হিসেবেও পালন করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। অক্ষয় তৃতীয়ার একাধিক মাহাত্ম্যের মধ্যে অন্যতম উল্লেখ্য, এই দিনেই ভগীরথ গঙ্গাকে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে নিয়ে আসেন। তাই আজই গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ধামের দ্বারোদ্ঘাটন।

3/5অক্ষয় তৃতীয়ায় সত্যযুগের অবসান হয়। সূচনা হয় ত্রেতা যুগের। শ্রীগোবিন্দর দ্বাদশ যাত্রা এবং দেবীর ষোড়শ যাত্রার মধ্যে অন্যতম যাত্রা চন্দন যাত্রা। গরমকালের অসহ্য তাপে মা যশোদা গোপালের সারা অঙ্গে চন্দন লেপন করে রাখতেন‌। সেই প্রথা মেনে মহাপ্রভু জগন্নাথ দেবের গাত্রেও চন্দন লেপন হয়। ২১ দিন ধরে এই অনুষ্ঠান চলে। অন্যদিকে চন্দন সরোবরে ভূদেবী ও জগন্নাথের জলকেলি করেন। অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই শুরু হয় এই চন্দন যাত্রা।

4/5পুরাণ মতে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই কাশীতে প্রকাশ ঘটেছিল মা অন্নপূর্ণার। কথিত আছে, একবার দেবী পার্বতী শিবের কাছে রান্নাঘর তৈরি করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু শিব সে অনুরোধ হেসে উড়িয়ে দেন‌। অভিমানে দেবী কৈলাস ত্যাগ করতেই অন্নের জন্য হাহাকার পড়ে যায়। মহাদেবও খিদের জ্বালায় অন্নের খোঁজ শুরু করেন। তখন তিনি জানতে পারেন এক দেবীপ্রতিম নারী কাশীতে সবাইকে অন্নদান করছেন। মহাদেব সেখানে পৌঁছে দেখেন, মা অন্নপূর্ণা রূপে সেখানে অন্নদাত্রী। নিজের ভুল বুঝতে পারেন মহাদেব।

5/5দশমহাবিদ্যার অন্যতম দেবী ধুমাবতীর আবির্ভাব তিথি অক্ষয় তৃতীয়া। পুরাণ মতে, দুরাচারী মল্ল ও মণিকে একদা অভয় প্রদান করেন পার্বতী। তারপরেই তাদের অত্যাচারে পৃথিবীতে হাহাকার শুরু হয়। মহাদেব তখন মল্ল ও মনিকে বধ করতে উদ্যত হলে পার্বতী কালিকা রূপ ধারণ করেন। মহাকালকে গিলে বৈধব্য রূপ ধারণ করেন। কুলো হাতে নিয়ে কাকে টানা রথে উপবিষ্ট হন। দেবীর এই রূপই ধূমাবতী নামে খ্যাত।

পরবর্তী ফটো গ্যালারি

ত্রেতা যুগের শুরু থেকে মা অন্নপূর্ণা, ধূমাবতীর আবির্ভাব, অক্ষয় তৃতীয়া সাক্ষী এইসব দৈবী ঘটনার

Latest News

Latest lifestyle News in Bangla

IPL 2025 News in Bangla

Trending Topics

Sections

বাংলার মুখ

ময়দান

ক্রিকেট

ভাগ্যলিপি