আজ, বুধবার মহালয়া। পিতৃপুরুষদের তর্পণ করে বিদায় জানানোর দিন। তবে ঠিক কেন ম♒হালয়🅠ার দিনে পিতৃপক্ষের সমাপ্তি সে সম্পর্কে মহাভারতের একটি কাহিনির উল্লেখ পাওয়া যায়।
কথিত আছে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে নিহত কর্ণ স্বর্গে গেলে তাঁকে সেখানে ꧅শুধুই সোনা-রুপো খেতে দেওয়া হয়। খাদ্য-পানীয় না-পেয়ে বিস্মিত কর্ণ যমরাজকে তাঁর প্রতি এমন ব্যবহারের কারণ জিজ্ঞেস করেন। তখন যমরাজ তাঁকে জানান যে, কর্ণ সারাজীবন শক্তির আরাধনা করে গিয়েছেন। কখনও নিজের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করেননি এবং তাঁদের খাদ্য-পানীয় দেননি। সকলকে শুধু সোনা, রুপো, অর্থই দান করেছেন। তাই পুণ্যফলে স্বর্গে তাঁর স্থান হলেও খাদ্য-পানীয় লাভের যোগ্য তিনি নন। সেই জন্যেই তোমার প্রতি এই ব্যবহার।
এর পর কর্ণ জানান, ‘জন্মের পরই আমার মা আমাকে ত্যাগ করেন। সূত অধিরথ🌌 ও তাঁর স্ত্রী আমাকে লালন-পালন করেন এ প্রতিপালন করেন। তার পর আমার শৌর্যে মুগ্ধ হয়ে দুযোর্ধন আমাকে আশ্রয় দেন। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শুরুর আগের দিন কৃষ্ণ ও মাতা কুন্তী এসে আমার জন্ম ও বংশ পরিচয় জানান। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মাত্র ১𝕴৬-১৭ দিন বেঁচে ছিলাম আমি। পিতৃপুরুষকে জল দেবার সময় পাইনি আমি।’ এ কথা বলেই কর্ণ যমরাজের কাছে উপায় জানতে চান।
তখন যমরাজ কর্ণকে মর্ত্যে ফিরে গিয়ে পিতৃপুরুষকে জলদান করে স্বর্গে আসতে বলেন। তখন♌﷽ই তিনি খাদ্য-পানীয় পাওয়ার যোগ্য হবেন।
এই নির্দেশের পর, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে কর্ণ মর্ত্যে ফিরে আসেন। এখানে এক পক্ষ কাল থেকে পিতৃপুরুষকে তিল-জল দান করে নিজের পাপস্খলন করেন। তার পর আশ্বিন 🐽মাসের অমাবস্যা তিথিতে শেষ জলদান করে কর্ণ স্বর্গে ফিরে যান। এই সময়কে শাস্ত্রে পিতৃপক্ষ বলা হয়ে। পিতৃপক্ষের শেষ দিনই হল মহালয়া বা সর্বপিতৃ অমাবস্যা। মনে করা হয় যেহেতু এই তিথিত পূর্বপুরুষদের তর্পণ ও শ্রাদ্ধকর্ম সম্পন্ন করে কর্ণ স্বর্গে গমন করেন, তাই তার পর থেকে এই দিনটি পালিত হতে শুরু করে।