বৈদিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, বসন্ত পঞ্চমীর শুভ উৎসব প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পালন করা হয়। এ বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি পড়েছে সেই শুভ দিন। ভারতীয় শাস্ত্র অনুসারে, এই দিনে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার দেবী সরস্বতীর আবির্ভাব হয়েছিল। তাই এদিন শিশুদের হাতে খড়ি দেওয়া হয়। এছাড়া যেকোনো বৈদিক গুরুকুলে শিক্ষাদানও এদিনই শুরু হয়। চলতি বছরে, বসন্ত পঞ্চমীর দিনে ৩০ বছর পর ষ মহাপুরুষ রাজযোগ তৈরি হচ্ছে। তাই এই দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মহা যোগে দেবী সরস্বতীর আরাধনা করে এবং কিছু জ্যোতিষশাস্ত্রীয় টꩲোটকা করলে নিশ্চিতরূপে আপনার জীবন থেকে সমস্ত অন্ধকার দূর হয়ে যাবে।
- আজ, সরস্বতী পূজার দিন এই বিশেষ টোটকাগুলো করলেই পাবেন সাফল্য
ছোটদের হাতে খড়ি দিন: সরস্বতী পূজার দিনটি শিক্ষা শুরুর জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনে, ছোট বাচ্চারা জাফরানে ডুবিয൩়ে একটি কলম🍎 দিয়ে স্লেট বা কাগজে তাদের প্রথম অক্ষর লেখে।
হলুদ জামাকাপড় পড়ুন: বসন্ত পঞ্চমীতে ব্যক্তিরা হলুদ পোশাক পরে থাকেন, কারণ হলুদ রঙ বসন্ত এবং দেবী সরস্বতﷺীর সঙ্⛦গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
উড়ন্ত ঘুড়ি শুভ: বসন্ত পঞ্চমীর দিনে ঘুড়ি ওড়ানো একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ঐতিহ্য। এই সময়ে সমস্ত বয়সের মানুষেরা বিভিন্ন রঙ এবং আকারের ঘুড়ি উড়িয়ে থ♕াকেন, যা জ্ঞান এবং আকাঙ্ক্ষার উড়ানের প্রতীক বলে মনে করা হয়।
হলুদ ফুল 🅰গুরুত্বপূর্ণ: বসন্ত পঞ্চমীতে দেবী সরস্বতীকে গাঁদ🦂া ও সূর্যমুখী ফুল নিবেদন করা উচিত। এর দরুণ জ্ঞানের দেবীর বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
সাদা বস্ত্র দান করুন: মা সরস্বতীর আশীর্বাদ পেতে ব্রাহ্মণ মহিলাকে সাদা বস্ত্র দান করাও শুভ বলে মনে কর🐲া হয়।
সাদা মিষ্টি ꦺখাওয়ান: আজ কোনও মেয়েকে বাড়িতে ডেকে সাদা মিষ্টি খাওয়ালে দেবী খুশি হন।
এই বিশেষ রস খা🌠ন: শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিশ্রম করেও সফলতা না পেলে ব্রাহ্মী নামক শাকের রস খেয়ে এদিন 'ওম সরস্বত্যায় নমঃ' মন্ত্রটি জপ করুন।
ব্র♏াহ্মণকে বই দান: বসন্ত পঞ্চমীর দিন ব্রাহ্মণকে একটি বই দান করু💛ন।
মনে রাখবেন, দেবী সরস্বতী শিল্প, প্রযুক্তি, সঙ্গীত এবং নৃত্যেরও দেবী, যারা এই ক্ষেত্রে উন্নতি🍃 করতে চান তাঁদের বিশেষ করে মায়ের কাছে প্রার্থনা করা উচিত।