♍ ভাইফোঁটা ঘিরে নানান ধরনের আচার পালিত হয় বাঙালি সমাজে। পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ভাইফোঁটা ঘিরে কিছু আচার ভিন্ন। তবে ভাইদের মঙ্গল কামনায় দুইবঙ্গেই কিছু রীতি একই। ভাইফোঁটার ফোঁটা দেওয়ার থালায় কী কী রেখে রীতি পালিত হয়? দেখে নেওয়া যাক।
ভাইফোঁটার সবচেয়ে শুভ সময়:-
♊চলতি বছরে ভাইফোঁটা দেওয়ার দ্বিতীয়া বা প্রতিপদ তিথি সকলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। তবে তারও রয়েছে একটি শুভ সময়। জ্যোতিষবীদ সুদীপ শাস্ত্রী বলছেন, ভাই ফোঁটা দেওয়ার শুভ সময় চলতি বছরে ২ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ধরে রয়েছে। ৩ নভেম্বর রবিবার ভাইফোঁটা পড়ছে। সেদিন দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে ফোঁটা দেওয়ার সবচেয়ে বেশি শুভ সময় তৈরি হবে। আর সেই শুভ সময় শেষ হবে ৩ টে ২২ মিনিটে। এই ২ ঘণ্টা ১১ মিনিটের মধ্যেই শেষ করতে হবে ভাইফোঁটা দেওয়ার পর্ব।
( ꩵKalyan Banerjee Crying: ‘করুণাময়ী.. মাগো মা..’ কালীমূর্তি ছুঁয়ে অবেগের কান্নায় ভাসলেন কল্যাণ)
ভাইফোঁটার থালায় কী থাকবে?
ꦍমূলত, কাঁসা বা পিতলের থালায় ফোঁটার সামগ্রী রাখা হয়। এই ফোঁটার সামগ্রী হল, সামান্য দই, চন্দন, ও কাজল। বাঁ হাতের কনিষ্ঠা আঙুল দিয়ে পরানো হয় ফোঁটা। রীতি বলছে, চন্দন তিলক পরিয়ে দিলে ভাইয়ের পরমায়ু বৃদ্ধি হয়। হিন্দু ধর্মে যেকোনও কাজে দইকে শুভ মনে করা হয়। সেই দিক থেকে দইয়ের ফোঁটা দেওয়া হয়। আগেকার রীতি বলছে, পানের বোটায় করে ভাইকে কাজল পরিয়ে দেওয়ার রীতি পালন করেন বোনেরা। মনে করা হয়, কাজল পরালে ভাইকে কুনজর থেকে রক্ষা করা যায়। অনেকে আবার কাজলের ফোঁটা কপালেও দেন। ভাইফোঁটার থালায় রাখা হয় একটি প্রদীপ। সঙ্গে থাকে, দই, চন্দন, ও কাজল। এর সঙ্গে থাকে ধান ও দুর্বা। থাকে মিষ্টি। ফোঁটা দেওয়া শেষ হলে ধান ও দুর্বা দিয়ে ভাইকে আশীর্বাদ করা হয়। কিম্বা যদি বোন দাদার থেকে ছোট হন, তাহলে দাদা ওই ধান ও দুর্বা দিয়ে বোনকে আশীর্বাদ করেন। ফোঁটার সময়ে বাড়িতে বেজে ওঠে শাঁক। পরে বোন ভাইয়ের মুখ মিষ্টি করান, একটি মিষ্টি খাইয়ে। বোন বা ভাইয়ের মধ্যে যিনি বয়সে ছোট, তিনি অপরজনকে করেন প্রণাম।