২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ানের রক্তাক্ত সংঘাতের সাড়ে ৪ বছর পার হয়ে গিয়েছে। চিনা আগ্রাসনে সেদিন ভারত তার ২০ বীর যোদ্ধাকে হারিয়েছিলꦡ। সেই সংঘাতের পর কেটেছে বহু সময়। চিন ও ভারতের সম্পর্কের মধ্য দিয়ে পার হয়েছে বহু অধ্যায়। সদ্য রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে মোদী-জিনপিং মুখোমুখি হন। সেখানেই লাদাখ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরপ💎র থেকে লাদাখের দুই সংঘাতস্থল ডেপসাং ও ডেমচকে সেনার ডিসএনগেজমেন্ট পর্ব শুরু হয়। সদ্য ডেমচকে টহলে নেমেছে ভারতীয় সেনা।
২০২০ সালের গালওয়ান পর্বের পর ২০২৪এর নভেম্বরের প্রথম দিনেই এবার ডেমচকে টহল শুরু হল ভারতীয় সেনার। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রিপোর্ট দাবি করেছিল যে, লাদাখের দুটি সংঘাতস্থল ডেপসাং ও ডেমচক থেকে ভারত ও চিন দুই দেশই সেনার '𝔍ডিসএনগেজমেন্ট’ করে। তারপর দিওয়ালিতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুই দেশের সেনার মꦍধ্যে বিতরণ হয়েছে মিষ্টি। এরপরই এল ডেমচকে-এ সেনা টহলের খবর। জানা যাচ্ছে, এরপর ডিপসাং-এও সদ্য শুরু হবে টহল। এর আগেও ঘোষণা হয়েছিল, নির্ধারিত পরিকল্পনা মাফিক ডেপসাং ও ডেমচকে দুই দেশের সেনার মধ্যে টহল হবে। দুই দেশ নিজেদের মতো করে পরিকল্পনা করে তা সম্পন্ন করবে। আর দিওয়ালির পরদিন থেকেই ভারতীয় সেনার ওই টহলের খবর সামনে এল।
( Bhai Phonta 2024 Tithi: ভাইফোঁটা ২০২৪-র দ্বিতীয়া ও প্রতিপদ তিথ🎐ি কখন থেকে পড়ছে? দেখে নিন সময়, তারিখ)
এদিকে, দিওয়ালির দিন লাদাখের প্রকৃত নি❀য়ন্ত্রণ রেখায় বিতরণ করা হয়েছে মিষ্টি। উল্লেখ্য, এই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পশ্চিমে লাদাখ থেকে পূর্বে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত চিন ও ভারতের অধীনস্থ অঞ্চলগুলিকে আলাদা করে। ১৯৬২ সালে সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যে মারাত্মক যুদ্ধ হয়েছিল, পরে ২০১৭ সালে ভুটানের ডোকলাম অঞ্চল নিয়েও চিনের আগ্রাসনকে রক্তচক্ষু দেখিয়েছে ভারত। এরপর ২০২০ সালে লাদাখের ডেমচক ও ডিপসাং এলাকায় দুই দেশের সেনার মধ্যে প্রবল সংঘাত হয়েছে। দুই পক্ষই প্রায় হাজার হাজার সেনা সেখানে মোতꦍায়েন করে। সেখানে মোতায়েন হয় অত্যাধুনিক অস্ত্র সম্ভার। এদিকে, অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে আসতে থাকে চিনের একের পর এক তোপ। অরুণাচলকে চিন নিজের মতো করে নামকরণ করে, নাম দেয় জাংনান। তা নিয়েও ক্ষোভের সুর চড়া করে দিল্লি। সেই পরিস্থিতির মাঝে লাদাখে সদ্য অবস্থার উন্নতিক খবর, দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে বড় বিষয়।