বরের বাড়ি মুম্বইয়ে। আর কনে গুয়াহাটির বাসিন্দা। এই দীর্ঘ পথে বরযাত্রীদের নিয়ে ট্রেনে করেই কনের বাড়িতে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন বর। কিন্তু, ট্রেন দেরি করতেই ঘটে বিপত্তি। মুম্বই থেকে হাওড়া পৌঁছনোর পর আর একটু হলেই হাওড়া থেকে গুয়াহাটিগা💝মী ট্রেন মিস করত বরযাত্রী পক্ষ। কিন্তু, রেলের কাছে বরপক্ষ সাহায্য চাইতেই তৎপরতার সঙ্গে এগিয়ে আসেন আধিকারিকরা। শেষ পর্যন্ত, সময়মতো কনের বাড়িতে পৌঁছতে সক্ষম হল বরপক্ষ। এমনই ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার।
আরও পড়ুন: কী মর্মান্তিক! ইঞ্জিন আর বগির মাঝে আটকে মৃত্যু রেলকর্মღীর, পালিয়ে গেলেন চ༺ালক
জানা গিয়েছে, প্💜রথমে বর এবং বরযাত্রী সহ প্রায় ৩৫ জনের মুম্বই থেকে গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসে করে হাওড়ায় আসার কথা ছিল। তবে গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস তিন ঘণ্টা দেরি করতেই ঘটে বিপত্তি। হাওড়া থেকে গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেস যখন ১৫ কিলোমিটার দূরে তখন বরপক্ষ আশঙ্কা করেছিল যে তারা হাওড়া সময়মতো পৌঁছতে পারবেন না। ফলে হাওড়া থেকে গুয়াহাটিগামী সরাইঘাট এক্সপ্রেস ধরতে পারবে না। তখন অবস্থা বেগতিক বুঝে বরযাত্রীর পক্ষে চন্দ্রশেখর বাগ নামে একজন এক্স হ্যান্ডেলে হাওড়ার ডিআরএম এবং সিনিয়ার ডিসিএম হাওড়ার কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। পরে গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস হাওড়ায় এসে পৌঁছয় স্টেশনের নতুন কমপ্লেক্সের ২১ নম্বর প্লাটফর্মে। আর সরাইঘাট এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ছিল পুরনো কমপ্লেক্সের ৯ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে। এই দুটির মধ্যে দূরত্ব অনেকটাই । তারওপর বরযাত্রীদের অনেকেই প্রবীণ নাগরিক থাকায় তাদের পক্ষে স্বাভাবিকভাবেই দৌড়ে গিয়ে ট্রেন ধরা সম্ভব ছিল না।
বিষয়টি জানতে পেরেই তড়িঘড়ি রেলের আধিকারিকরা হাওড়া স্টেশনে তাদের অধস্তন কর্মচারীদের প🥂্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপর গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশনে পৌঁছনোর সঙ্গেসঙ্গে তৎপরতা দেখায় রেল। রেলের কর্মচারী 🤡এবং আধিকারিকরা মিলে একটি বিশেষ করিডোর তৈরি করেন। অল্প সময়ের মধ্যে ২১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে পুরনো কমপ্লেক্সের ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে বরযাত্রীর ৩৫ জনকে সাহায্য করেন। বয়স্ক সদস্যদের জন্য চারটি ব্যাটারি চালিত গাড়ি ও হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়। আর এই কাজের জন্য নিযুক্ত ছিলেন এক ডজনেরও বেশি রেলকর্মী। রেলস্টেশনে বিশেষ ব্যবস্থার কারণে বরযাত্রীরা সকলেই ১২৩৪৫ সরাইঘাট এক্সপ্রেস ধরতে সফল হন এবং যথাসময়ে কনের বাড়িতে পৌঁছে যান। এরজন্য বরযাত্রীরা রেলকে ধন্যবাদ জানান।