'নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো' (এনসিবি)-এর কলকাতার গোয়েন্দাদের হাতে পাকড়াও হল🔯 কুখ্যাত মাদক পাচারকারী। শনিবার এনসিবি-র গোয়েন্দার তরফ থেকে এই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
তাতে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অতীতে সোনা পাচারের 🎃অভিযোগও উঠেছে এবং তাকে 'কোডাইন বেস্ড কাফ সিরাপ' (সিবিসিএস) বা নেশার জন্য ব্যবহৃত (নিষিদ্ধ) কাশির সিরাপের একটি বিরাট কনসাইমেন্ট বাজেয়াপ্ত করার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। বস্তুত, সেই মামলায় তাকে খুঁজছিল এনসিবি।
তাদের তরফে এই প্রসঙ্গে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, সেই অনুসারে, আন্তর্জাতিক স্তরে সিবিসিএস পাচার রুখতে এনসিবি সম্প্রতি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিযান চ﷽ালায়। তাদের কাছে ভারত থেকে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ এনসিবি পাচারের খবর ছিল। তারই ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়।
গত ১৪ নভেম্বরের সܫেই অভিযানে এক আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করে এনসিবি। ধৃত ব্যক্তির নাম গৌতম মণ্ডল। কলকাতার বাসিন্দা গৌতমকে প্রায় ১৫,০০০ ফেন্সিডিলের বোতল পাচারের চেষ্টা এবং তা বাজেয়াপ্ত করার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়।
এনসিবি-র দাবি, গৌতম মণ্ডল একজন কুখ্যাত মাদক পাচারকারী। যে অতীতে সোনা পাচারের সঙ্গেও জড়ি♔য়ে পড়ে।
এনসিবি-র তরফে জানানো হয়, 'গৌতম মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ সোনার পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এই ক๊ারণে ডিআরআই-এর অভিযুক্তদের তালিকাতেও তার নাম রয়েছে। তার বি🐬রুদ্ধে কোটি কোটি টাকার সোনার পাচারের অভিযোগ উঠেছে।...'
'...এছাড়াও গৌতম নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ পাচার করত। মূলত পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে সেই পণ্য পাচার করা হত। গৌতম মণ্ডল একজন দাগি অপরাধী। তার💜 বিরুদඣ্ধে পশ্চিমবঙ্গ এসটিএফ-এর কাছেও অভিযোগ জমা পড়েছে।'
এনসিবি-র তরফে আরও জানানো হয়ে𝓡ছে, 🍒এর আগে কলকাতায় যে বিপুল পরিমাণ সিবিসিএস উদ্ধার করা হয়েছিল, তা আনা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ থেকে। তারপর তা গোপনে পাচার করার ছক কষা হয়েছিল।
ধৃত গৌতম মণ্ডল সম্পর্কে এনসিবি-র বক্তব্য হল, সে একজন পাকা অপরাধী। যে ধাপে ধাপে অপরা♛ধ সংগঠিত করে। সে বহু লোককে প্রশিক্ষণও দিয়েছে এই ধরনের পাচারচক্র চালিয়ে যাওয়ার জন্য।
এমনকী, প্রশিক্ষণের পর ওইসব ব্যক্তিকে জুটি হিসাবে ব্যবহার করত সে। ধরা যাক, একবার যদি কোনও একটি জুটিকে পাচারে♑র কাজে ব্যবহার করা হয়, তাহলে পরবর্তীতে পাচারের𒁃 সময় সেই জুটি বদলে অন্য জুটিকে কাজে লাগাত গৌতম।
পুলিশ ও প্রশাসনের নজর এবং গ্রেফতারি এড়াতেই এভাবে দℱিনের পর দিন অপরাধ করে গিয়েছে গৌতম মণ্ডল। এমনটাই দাবি এনসিবি গোয়েন্দাদের।
তাঁদের বক্তব্য, গৌতম এই পাচার চক্রের একেবারে মাথায় ছিল। তাই সে গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় এই এলাকায় পাচ꧂ারের ঘটনায় কিছুটা হলেও রাশ টানা সম্ভব হবে।
তবে, এই পাচার চক্রে গৌতমের সঙ্গী কে বা কা♊রা ছিল, সেই বিষয়ে তদন্ত এখনও চলছে। সেই তদন্তে ডিআরআই এবং এসটিএফ-ও যোগ দিয়েছে।