খাস কলকাতায় এবার সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা করা হল। প্রকাশ্য দিবালোকে রবিবার সকাল সাড়ে ১১ট🔥া নাগাদ পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার মুকুন্দপুর বাজারে এই ডাকাতির চেষ্টার ঘটনা ঘটে। আর তখন দোকানের মালিক বাধা দিতে গেলে তাঁর গলায় ধারাল অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা দুষ্কৃতীদের হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। ক্রেতা সেজে সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা চালায় দু’জন। তাদের ছুরির আঘাতে মুকুন্দপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি দোকানের ম⛄ালিক।
এদিকে কয়েকদিন ধরে এই সোনার দোকান কখন ফাঁকা থাকে, কখন লোকজন থাকে সেটার একটা রেইকি করা হয়েছিল। তারপর আজ, রবিবার ছুটির দিনে ওই সোনার দোকার সামনে হাজির হয় দু’জন ডাকাত। তাদের দলবল পিছনে ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে তারা উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে পালিয়ে যায়। যে দু’জন দোকানে ঢুকেছিলে সেই দু’জন ধরা পড়ে যায়। পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজ মেলেনি। প্রথমে স্কুটারে করে দুই যুবক আসে। ক্রেতা সেজে সোনার দোকানে ঢোকে তারা। তার💙পরই লুঠপাটের চেষ্টা করে। দোকানের মালিক তখন বাধা দিতে গেলে তাঁর গলায় ধারাল অস্ত্রের কোপ মারা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে চিৎকার করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় আক্রান্ত পুলিশ কর্তা, গোলমাল থামাতে গেলে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ
অন্যদিকে সেই চিৎকারে যে লোকজন জড়ো হয়ে যাবে তা বুঝতে পারেনি ডাকাত দলের দুই সদস্য। ওই দু’জনকে স্থানীয় বাসিন্দারা ধরে ফেলেন। তারপর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই দুই ডাকাতকে। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই দু’জনের কেউই স্থানীয় নয়। দু’জনেই বাইরের। বেশ কয়েকদিন ধরে এদের এই এলাকায় দেখা যাচ্ছে। এবার সেটা যে ড꧃াকাতির চেষ্টা করার জন্য তা কেউ বুঝতে পারেননি। আসলে এই মাস শেষ হলেই ডিসেম্বর মাস। তখন নানা উৎসব–পার্বণ রয়েছে। বড়দিন থেকে নতুন ইংরেজি বছর আসবে। সেইসব ভালভাবে কাটাতেই এই ডাকাতির ছক বলে পু𝄹লিশ জানতে পেরেছে।
এছাড়া এই দু’জন কারা? এই ডাকাতির পিছনে আর কারা আছে? শহরের বুকে এই সোনার দোকানকেই বেছে নেওয়া হল কেন? সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। আর স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, কোনও দিন এই এলাক๊ায় আগে এমন ঘটনা ঘটেনি। অথচ আজ ꩲপ্রকাশ্য দিবালোকে এই ডাকাতির ঘটনায় ভরা বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ভয় পাচ্ছেন। রাত ১২টা পর্যন্তও এখানে এতদিন নিশ্চিন্তে চলাফেরা করা গিয়েছে। এখন সেটা আর করা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় সোনার দোকান রক্তাক্ত হয়।