২২ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ায় কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করে উপকার পেতে পারেন, যা নবায়নযোগ্য ফল দেয়। বৈশাখ শুক্ল তৃতীয়ার মহিমা মৎস্য, স্কন্দ, ভবিষ্যৎ, নারদ পুরাণꦆ ও মহাভারত গ্রন্থে রয়েছে। এই দিনে করা ভাল কাজগুলি অক্ষয় (যা ক্ষয় হয় না) এবং চির ফলদায়ক, তাই একে অক্ষয় তৃতীয়া বলা হয়।
এটি যুগাদি অর্থাৎ🅰 সত্যযুগ ও ত্রেতাযুগের সূচনা তারিখ। নর-নারায🅠়ণ, হায়গ্রীব ও পরশুরাম রূপে শ্রী বিষ্ণুর অবতার এবং মহাভারত যুদ্ধের সমাপ্তি এই তিথিতে হয়েছিল। এই দিনে কোনও শুভ সময় না দেখে যে কোনও শুভ কাজ শুরু বা শেষ করা যেতে পারে। যেমন- বিয়ে, ঘর-বাড়ি করা বা কাপড়, বাড়ি, যানবাহন, প্লট ইত্যাদি ক্রয়, কৃষিকাজ শুরু করা ইত্যাদি সুখ-সমৃদ্ধির যোগানদাতা।
এই দিনে গঙ্গায় স্নান করলে সকল তীর্থযাত্রার ফল পাওয়া যায়। সবাই মা গঙ্গার জপ করে এবং জলে আবাহন করে ব্রহ্ম মুহূর্তে পবিত্র স্নান ꦰকরতে পারেন। স্নানের পরে প্রার্থনা করুন: মাধবে মেষগে ভানাউ মুরারে মধুসূদন। নাথ ফলদঃ প্রভাত স্নানে পাপহা ভাব। আরে মুরারে! হে মধুসূদন! হে বৈশাখ মাসে মেষ রাশির সূর্যে নাথ! আজ সকালে স্নান করে আমার ফলবান হয়ে পাপ নাশ কর। সপ্তধন্য উপটান ও গোচারণ মিশিয়ে স্নান করলে উপকার পাওয়া যায়। ফুল, ধূপ-প্রদীপ, চন্দন অক্ষত (পুরো চাল) ইত্যাদি দিয়ে লক্ষ্মী-নারায়ণকে পুজো করা এবং অক্ষতের সঙ্গে যজ্ঞ অক্ষয় ফলদায়ক।
জপ, উপবাস ও দান এর গুরুত্ব
এই দিনে উপবাস, জপ, ধ্যান, আত্ম-অধ্যয়নও ফলদায়ক। একবার ♔হালকা খাবার খেয়েও উপবাস রাখতে পারেন। ভবিষ্য পুরাণ এ আছে যে এই দিনে প্রদত্ত দান নবায়নযোগ্য হয়। এই দিনে জলের কলস, পাখা, (খন্ড লাড্ডু), পদত্রান (জুতা-চপ্পল), ছাতা, যব, গম, চাল, গরু, কাপড় ইত্যাদি দান করা পুণ্যের কাজ। কিন্তু দান শুধু যোগ্যদেরই দিতে হবে।
পিতৃ-তর্পনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি
এই দিনে পিতৃ তর্পণ করা চি🔯র ফলদায়ক। পিতৃপুরুষ সন্তুষ্ট হলে ঘরে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি ও দিব্য সন্তানের আগমন ঘটে। এই দিনে, তিল এবং অক্ষত নিন এবং ভগবান বিষ্ণু এবং ব্রহ্মা♔র কাছে প্রার্থনা করুন। তারপর পূর্বপুরুষদের কাছে মানসিক আবেদন করার পর তাদের পায়ে তিল, অক্ষত ও জল নিবেদনের অনুভূতি নিয়ে ধীরে ধীরে একটি পাত্রে ওগুলি রেখে ভগবান দত্তাত্রেয়, ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর কাছে পূর্বপুরুষদের মুক্তির জন্য প্রার্থনা করুন।
আশীর্বাদের দিন
এই দিনে পিতামাতা এবং শিক্ষকদের সেবা করুন এবং তাদের আশীর্বাদ নিন। এর ফলও নবায়নযোগ্য। অক্ষয় মানে যা কখনও বিনষ্ট হয় না। দেহ ও জগতের সকল বস্তুই ধ্বংসশীল, একম𝓀াত্র ভগবানই অবিনাশী। এই দিনটি আমাদের আত্মদর্শন করতে অনুপ্রাণিত করে। অক্ষয় নিজের দিকে নজর রাখার দৃষ্টিভঙ্গি দেন। মহাপুরুষ ও ধর্মের প্রতি আমাদের ভক্তি এবং ভগবানকে প্রাপ্তির জন্য আমাদের সংকল্প অটুট ও অক্ষয় হোক - এটাই অক্ষয় তৃতীয়ার বার্তা।