ভগবান শিবের উপাসনা করা এবং শিবলিঙ্গে গঙ্গা জল ও দুধ দিয়ে অভিষেক করলে কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি মেলে।হিন্দু ধর্মে অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এবং এবার বৈশাখ অমাবস্যায় বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণের কারণে এর গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। অমাবস্যার তিথিকে অনেক ধরনের বাস্তু বা জ্যোতিষশাস্ত্রের ত্রুটি থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অত্যন্ত বিশেষ বলে মনে করা হয়েছে। বৈশাখ অমাবস্যায় পূর্ণ সূর্যগ্রহণের কারণে এবার পিতৃ দোষ ও কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।বৈশাখ অমাবস্যার তারিখ শুরু হয় ১৯ এপ্রিল ২০২৩ সকাল ১১।২৩ এ। বৈশাখ অমাবস্যা শেষ হবে ২০ এপ্রিল ২০২৩ সকাল ০৯।৪১ টায়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে উদয়তিথিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে উদয়তিথি অনুসারে ২০ এপ্রিল বৈশাখ অমাবস্যা পালিত হবে।পিতৃদোষ ও কালসর্প দোষ দূর করতে এই ব্যবস্থাগুলি করুনবৈশাখ অমাবস্যায় দান ও পুজো করলে পিতৃ দোষ, কালসর্প দোষ, নাগ দোষ, গ্রহন দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।যে কোনও জাতকের রাশিতে দ্বিতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম, নবম ও দশম ঘরে রাহু ও সূর্যের মিলনের কারণে পিতৃদোষ থাকে।যদি কোনও ব্যক্তিকে তার কুণ্ডলীতে পিতৃ দোষের কারণে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাহলে বৈশাখ অমাবস্যায় পূর্বপুরুষদের জন্য শ্রাদ্ধ, পিণ্ডদান ও তর্পণ করা উচিত।কুণ্ডলীতে রাহু ও কেতুর মধ্যে সমস্ত গ্রহ আসার কারণে কালসর্প দোষ হয়। কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পেতে বৈশাখ অমাবস্যার দিন ভগবান শিবের পুজো করুন।ভগবান শিবের পুজো করে এবং শিবলিঙ্গে গঙ্গাজল ও দুধ অভিষেক করলে কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।