শাস্ত্র মতে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা পর্যন্ত শ্রাদ্ধপক্ষ অর্থাৎ এই পনেরো দিনে পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে বিধি বৎ তাদের জন্য শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান করা হয়ে থাকে। এই শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান করা অত্যন্ত আবশ্যক । কথিত আছে এই ১৫ দিনে তারা পৃথিবীতে আসেন এবং তাদের সন্তানদের কাছ থেকে তর্পন চান । য🐬ারা এই শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করে তারা ব্রাহ্মণভোজন করায়। এর ফলে পূণ্য বহু গুণ বেড়ে যায়। পূর্বপুরুষরা যশ মান খ্যাতি লক্ষ্মী লাভের আশীর্বাদ দেয়।
যদি কেউ শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান না করে, পূর্বপুরুষদের তিল জল না দেয় তাহলে পূর্বপুরুষদের আত্মা তৃষ্ণার্ত থাকেন । ফলে তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে থাকেন। এই কারণে অনেকেই পিতৃ দোষের প্রভাবে বছরের পর বছর ভুগতে থাকে। তাই দেব দেবীর পূজা অর্চনার সাথে সাথে স্বর্গ গত পিতৃ পুরুষদের শ্রদ্ধা ও অনুভূতির সাথে পুজো নিবেদন করু🔯ন।
যারা এই শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান করে না তারা কোনদিনও মোক্ষলাভ করে না। তাদেরই এই পিতৃ দোষের সম্মুখীন হতে হয়। এই পিতৃ দোষের জন্য তাদের জীবনে সম্পদ ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক বꦓাধা আসে এবং এই পিতৃ দোষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলতে থাকে।
অতএব এই শ্রাদ্ধপক্ষে বিশেষ করে মহালয়ার অমাবস্যার দিন সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে নিন। তারপর দক্ষিণ দিক জল দিয়ে পরিষ্কার করুন। তারপর পূর্ব দিকে মুখ করে পূর্বপুরুষদের মানসিক আহ্বান জানান। তিল কুশ জল হাতে রেখে সংকল্প করুন। তারপর জল মাটিতে ফেলে দিন বা কোন পাত্রে ফেলে দি।ন তারপর পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে এই শ্র𝔍াদ্ধ অনুষ্ঠান করছেন এটা বলে শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান শুরু করুন।