আজ, ১২ জুলাই জগন্নাথ রথ যাত্রা। এর পর ২০ জুলাই উল্টো রথ। তবে করোনা বিধিনিষেধের কারণে এ বছরও ভক্তরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রথ যাত্রা আয়োজিত হয়। রথযাত্রার কিছু বিশেষ ও চমকপ্রদ তথ্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক—১. জৈষ্ঠ্য মাসের পূর্ণিমায় জগন্নাথকে যে কুঁয়োর জলে স্নান করানো হয়, তা পুরো বছরে শুধু একবার এই তিথিতেই খোলা হয়। কুঁয়ো থেকে জল বার করে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১০৮টি কলসির জল দিয়ে জগন্নাথকে স্নান করানো হয়। ২. প্রতি বছর জগন্নাথ-সহ বলভদ্র, সুভদ্রার প্রতিমাও নিম কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। রঙের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়। জগন্নাথের মূর্তি তৈরির জন্য শ্যামবর্ণের নিম কাঠ ব্যবহৃত হয়। আবার বলরাম ও সুভদ্রার জন্য হাল্কা রঙের নিম কাঠ ব্যবহার করা হয়। ৩. তিনজনের রথ তৈরির প্রক্রিয়া ও আকার পৃথক পৃথক হয়। নারকেল কাঠ দিয়ে রথ তৈরি হয়। অন্য রথের তুলনায় জগন্নাথের রথ বড় হয় এবং এর রঙ লাল ও হলুদ। জগন্নাথের রথ সবার পিছনে থাকে। প্রথমে বলভদ্র, তার পর সুভদ্রার রথ থাকে।৪. জগন্নাথের রথের নাম নন্দীঘোষ, এর উচ্চতা ৪৫.৬ ফুট। বলরামের রথ তালধ্বজ ৪৫ ফুট উঁচু এবং সুভদ্রার রথ দর্পদলনের উচ্চতা ৪৪.৬ ফুট। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে নতুন রথের নির্মাণ শুরু হয়। প্রতি বছর নতুন রথ তৈরি করা হয়। এই রথ নির্মাণে পেরেক বা অন্য যে কোনও ধরনের ধাতু ব্যবহৃত হয় না।