এ বছর পিতৃপক্ষের অমাবস্যা তিথি♊তে মোক্ষ অমাবস্যার যোগফল তৈরি হচ্ছে। এই তিথিতে পিতৃপুরুষদের শুধু জল নিবেদন করলেই তৃপ্তি পাওয়া যাবে না, তাদের আশীর্বাদে সাফল্য ও সমৃদ্ধির দুয়ারও খুলে যাবে। পাঁচ বছর পর পিতৃপক্ষে এমনই শুভ কাকতালীয় ঘটনা ঘটছে।২৫ সেপ্টেম্বর রꦍবিবার এবং সর্ব পিতৃ অমাবস্যার সংমিশ্রণে তৈরী হচ্ছে মোক্ষ অমাবস্যা। একই দিনে ধৃতি যোগও তৈরি হচ্ছে। ধৃতি যোগের অধিপতি হলেন জল দেবতা, তাই ওই দিন জল দিয়ে পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধের বিশেষ তাৎপর্য ও প্রভাব থাকবে।
শ্রাদ্ধের আচার
শ্রাদ্ধ কর্ম (পিন্ড দান🦹, তর্পণ) শুধুমাত෴্র একজন যোগ্য জ্ঞানী ব্রাহ্মণের মাধ্যমে করা উচিত।
শ্রাদ🐷্ধ কর্মে ব্রাহ্মণদের পূর্ণ ভক্তি সহকারে দান করা হয়। এর সাথে গরু, কুকু𝄹র, কাক ইত্যাদি পশু-পাখির জন্য খাদ্যের একটি অংশ দিতে হবে।
সম𓆉্ভব হলে গঙ্গা নদীর তীরে শ্রাদ্ধ করতে হবে। যদি এটি সম্ভব না হয় তবে এটি বাড়িতেও করা যেতে পারে। শ্রাদ্ধের দিন ব্রাহ্মণদের ভোজন করানো উচিত। ভোজনের পর দান  🍨;করুন তাদের ।
যোগ্য ব্রাহ্মণের সাহা♕য্যে শ্রাদ্ধের মন্ত্র জপ করুন এবং তার পরে তর্পনের জন্য জল নিবেদন করুন। এরপর যে ভোগ নিবেদন করা হচ্ছে তা থেকে গরু, কুকুর, কাক ইত্যাদির অংশ আলাদা করতে হবে এবং তাদের খাবার খাওয়াতে হবে। খাবার পরিবেশনের সময় পূর্বপুরুষদের স্মরণ করা উচিত এবং তাদের মনে মনে শ্রাদ্ধ নিতে অনুরোধ করা উচিত।
শ্রাদ্ধ পূজার উপকরণঃ
ছোট সুপারি, প্রতিরক্ষা সূত্র, চাল, পইতে, কর্পূর, হলুদ, দেশি ঘি, ম্যাচ, মধু, কালো তিল, তুলসী পাতা, পান, যব, যজ্ঞের সামগ্রী, গুড়, মাটির প্রদীপ, তুলা, ধূপকাঠি, দই, যবের আটা, গঙ্গার জল, খেজুর, কলা, সাদা ফুল, খোসা যুক্ত বিউলীর ডাল, গরুর দুধ, ঘি, ক্ষীর, সোওয়া কিলো চাল, ম𝓀ুগ, আখ।
(উপরোক্ত তথ্য ধর্মীয় আস্থ✱া ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত)